ছোট জমিতে শিম চাষ

28

বাংলাদেশে শিম একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ। এর বীজও সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। জমি ছাড়াও রাস্তার পাশে, পথের আলে, ঘরের চালে এবং গাছেও ফলানো যায়। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে শিম ভালো জন্মে। দেশে পঞ্চাশটিরও বেশি স্থানীয় শিমের জাত আছে। আছে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতও। আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত বীজ বপণের উপযুক্ত সময়। শিম সারিতে বোনা হলে ৪-৫টি দিতে হয়। হেক্টর প্রতি ১৫ কেজি হলেই হয়। মাদায় বোনা হলে ৪-৫টি দিতে হয়। হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হলেই যথেষ্ট। বেশি জমিতে চাষ করলে কয়েকটি চাষ ও মই দেওয়া ভালো। মাদার দৈর্ঘ, প্রস্থ ও গভীরতার আকার ৪৫ সেন্টিমিটার রাখতে হবে। এক মাদা থেকে অন্য মাদার দূরত্ব হবে ৩.০ মিটার। গোবর ১০ কেজি, খৈল ২০০ গ্রাম, ছাই ২ কেজি, টিএসপি ১০০ গ্রাম, এমওপি ৫০ গ্রাম। মাদা তৈরির সময় এ সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা গজালে ১৪-২১ দিন পর পর দুই কিস্তিতে ৫০ গ্রাম করে ইউরিয়া ও ৫০ গ্রামম করে এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি মাদায় ৪-৫টি বীজ বুনতে হয়।
বীজ বপণের আগে ১০-১২ ঘণ্টা বীজ ভিজিয়ে নিতে হবে। প্রতিটি মাদায় ২-৩টি করে সুস্থ চারা রেখে বাকি চারা তুলে ফেলতে হয়। গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে। শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজন মতো সেচ দিতে হবে। মাঝে মাঝে নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে। গাছ যখন ১৫-২০ সেন্টিমিটার লম্বা হবে; তখন মাদার গাছের গোড়ার পাশে বাঁশের ডগা মাটিতে পুঁতে বাউনির ব্যবস্থা করতে হবে। আশ্বিন-কার্তিক মাসে ফুল হয়। ফুল ফোটার ২০-২৫ দিন পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফল দেয়। ফলন প্রতি শতকে ৩৫-৭৫ কেজি, হেক্টর প্রতি ১০-১৫ টন।