চন্দ্রঘোনা দোভাষীবাজারÑলিচুবাগান সড়কের বেহাল দশা

0

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
………………….

উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ব্যবসায়ীক প্রাণ কেন্দ্র চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারÑলিচুবাগান সড়কটিতে খানা খন্দকে ভর্তি, অনেক স্থানে জলকাদার ডোবায় পরিণত হয়েছে। ইট সুরকি উঠে গিয়ে সড়কটি বেহালদশায় রুপ নিয়েছে। দীর্ঘ ১ কিলোমিটার সড়কটির বিস্তীর্ণ অংশে ছোট বড় গর্ত, অনেক স্থানে জল কাদার ডোবায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ব্যস্ততম এ সড়ক দিয়ে যান ও জন চলাচল মারাতœক ঝুঁকির মাঝে চলছে বছরের পর বছর। সড়কটি যানবাহন চলাচলে অযোগ্য হওয়ায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। ফলে দোভাষী বাজারের সাথে লিচুবাগানের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাতœক ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে জঠিল রোগীদের এ সড়ক দিযে যাওয়া আসতে প্রতিনিয়ত সমস্যা হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কটির উপর থেকে চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালের পানি নেমে এসে জল কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কর্ণফুলী পেপার মিল, চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল, চন্দ্রঘোনা জেনারেল হাসপাতাল, ডাক্তার পাড়া, এলাকায় শত শত নারী পুরুষ চলাচল করে থাকে। দোভাষী বাজারের গুরুত্বপূর্ণ এসড়কটিতে খানা খন্দকে যানবাহন চলাচলে দীর্ঘদিন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের গর্তে নানা যানবাহন আটকে যায়। এসব গর্তে যানবাহন যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। সড়কে পাহাড়ি এলাকা থেকে বৃষ্টির পানিতে সয়লাভ হয়ে যান ও জন চলাচল অচল হয়ে পড়ে। সড়কে জলকাদায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। প্রতিদিন শত যাত্রী ও ক্রেতা বিক্রেতারা চরম দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে। বিশেষকরে দোভাষী বাজার জেনারেল হাসপাতাল, ডাক্তার পাড়া, চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল, লিচুবাগান, ৫টি বেসরকারি ব্যাংক, কর্ণফুলী পেপার মিল এলাকায় যাতায়তে মারাত্মক ঝুঁকিতে আসা যাওয়া করতে হয়। এছাড়া ও মাদ্রাসা এ তৈয়বিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া, নুরুল হক জরিনা মহিলা মাদ্রাসা, রাইজিং সান কেজি এন্ড হাই স্কুল,আইডিয়াল কেজি স্কুল, টিউলিপ কিন্ডার গার্ডেন হাই স্কুল, লিচুবাগান সবজি বাজার, দোভাষী বাজার মাছও সবজি বাজার সহ অসংখ্য সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে শত লোকজন চলাচল করে থাকে। সড়কটির বেহাল দশার কারণে দুইটি বাণ্যিজিক প্রাণ কেন্দ্র চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান ও দোভাষী বাজারে ক্রেতারা আসতে আগ্রহ দেখায় না । স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র ছাত্রী ও সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারী পুরুষদের কষ্টের শেষ হচ্ছে না। চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান ব্যবস্যায়ী সমিতির সভাপতি মো. হারুন জানান, সড়কটির কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সড়কটির নানা স্থানে পিচ উঠে গিয়ে সড়কে খানা খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল ঝুঁকির মাঝে চলছে বছরের পর বছর। সড়কটি সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেনি। দোভাষী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াছ কাঞ্চন চৌধুরী জানান, সড়কটির বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় দৃটি বাণ্যিজিক কেন্দ্রে ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার হচ্ছেনা। আমরা প্রতিদিনই সরকারকে রাজস্ব দিই ব্যবসায়ীরা । দীর্ঘদিন পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার হয়নি। রাঙ্গুনিয়া কলেজের ২য় বর্ষের সাবিহা নিগার ও অনামিকা দাশ জানান, দোভাষী বাজারের মত গুরুত্বপুর্ণ সড়কটি দিয়ে হঁাঁটায় যায় না। সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে বড় বড় খানা খন্দকে নানা যানবাহনে চলাচলে ঝুকির মধ্যে পড়তে হয়। এক পা দিলে অপরটি তুলতে গেলে কাদা জলের ময়লা পানিতে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। প্রায় সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। ব্যবসায়ী মাওলানা রহমত উল্লাহ জানান, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় গর্ত হয়ে জল কাদায় ভরে থাকে। জলকাদামাটি ডিঙ্গিয়ে বাজারে আসতে সমস্যা হচ্ছে প্রতিনিয়িত সাধারণ মানুষের। সড়কটি অবিলম্বে সংস্কার হলে লিচুবাগান ও দোভাষী বাজারের ব্যবসা বাণ্যিজ্য প্রসার হবে। চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর জানান, দুইটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রের জন্য সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি সংস্কারের জন্য বরাদ্ধসহ সকল কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদার সড়কটি সংস্কারের কাজ শিঘরই শুরু করবে।