চট্টগ্রাম ফুটবল লিগের দলবদলের সময়বৃদ্ধি চট্টগ্রাম লিগে স্থানীয় ক’টা প্লেয়ার!

23

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (সিডিএফএ) ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) যৌথ আয়োজনে প্রিমিয়ার ও ফুটবল লিগের দলবদলের সময়সীমা আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। প্রথমে ১০ আগস্ট পর্যন্ত দলবদলের সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছিল। এরই মাঝে ৮টি দল যৌথ আবেদনে দলবদল পেছানোর আবেদন জানালে সিডিএফএ তা খারিজ করে আরো ১০ দিন বাড়িয়ে দলবদলের শেষ দিন ২০ আগস্ট করে। গতকাল সিডিএফএ সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল জানান, দলগুলোর চাওয়া মতে দলবদলের সময়সীমা আরো তিনদিন বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ও ফুটবল লিগের ক্লাবগুলো দলবদলে অংশগ্রহণ করতে পারবে। কারণ হিসেবে, টানা চার দিন ছুটি, ব্যাংক বন্ধ, টাকা লেনদেন সমস্যাটাকেই তুলে ধরেছেন সংগঠকরা। অবাক করা ব্যাপার হলো, গত ১৫ দিনের দলবদল কর্মকান্ডে গড়ে ৩/৪ জন খেলোয়াড়ও দলবদল করেনি। লিগ শুরুর তারিখও ৪দিন পিছিয়ে ৫ আগস্ট করা হয়েছে আগেই।
আসলে, চট্টগ্রাম ফুটবল লিগের দলবদলে দলগুলোর তেমন আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে। দলগঠন এবং খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর ব্যাপারে আগে দলগুলোর যে ধরণের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যেতো এবং স্টেডিয়াম এলাকা যেভাবে সরগরম থাকতো এবার তার ছিঁটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাবেই বা কিভাবে?- চট্টগ্রামের ক’টা প্লেয়ার চট্টগ্রাম লিগে খেলে? গত লিগের হিসেবে, প্রিমিয়ারে বেশির ভাগ ফুটবলারই তো চট্টগ্রামের বাইরের। কয়েকটা টিম তো পুরাই বহিরাগত প্লেয়ার নিয়েই খেলে- কন্ট্রাক্টরের আন্ডারে ফুল টিম প্র্যাক্টিসও বাইরে, শুধু এসে খেলে যাওয়া। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এ খবরের ব্যাপারে একজন ক্লাব সংগঠক ক্ষোভের সাথেই বলেন, চট্টগ্রামে এমনিতেই ভাল মানের ফুটবলার আগের তুলনায় অনেক কম। যারা আছেন তাদের হাব ভাব দেখলে গা জ্বলে। খেলার আমন্ত্রণ জানালে আকাশচুম্বি দর হাঁকে, অগ্রিম চায় বেশি, আরো না শর্ত….। বেশি দিয়ে নিয়েও টেনশনে থাকতে হয়, লক্ষ্যহীন খেলা, কষ্ট করতে চায়না। সেদিক থেকে বাইরের ডিস্ট্রিক্টের খেলোয়াড়রা অনেক পরিশ্রমী, টার্গেট করে ঢাকা লিগকে, ন্যাশনাল টিমকে। তারা ম্যাচ খেলে অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের উপরে তোলার মিশন হিসেবেই এখানে আসে। ফলে আমাদের অনেক সাশ্রয় হয়, রিটার্নও ভাল পাওয়া যায়। তবে, সত্যি কথা হলো, চট্টগ্রামের ফুটবল দিন দিন নিচের দিকেই যাচ্ছে। শংকার এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সংগঠক আর ক্লাবগুলোকে এগিয়ে এসে করণীয় ঠিক করতে হবে। এবং তা অবিলম্বে।