ক্ষুদ্র শিল্পে জামানতহীন ঋণে গ্যারান্টি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

228

কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্পে ঋতপ্রবাহ বাড়াতে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আওতায় ওইসব শিল্পে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জামানতবিহীন ঋত বিতরণ করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে। ফলে গ্রাহকের কাছ থেকে ঋত আদায় না হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দেবে।
দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি গ্যারান্টি স্কিম প্রণীত হলো। গত ২৭ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে এপ্রিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋত দিতে যে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। সেই প্যাকেজ বাস্তবায়ন করতে এ গ্যারান্টি দেওয়া হবে। বিষয়টি তদারকি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমইএ অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগে ‘ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ইউনিট’ নামে একটি উপ-বিভাগ গঠন করা হয়েছে। এই ইউনিট থেকে ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টি দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাইক্রো শিল্পে বেশি কর্মসংস্থান হয়। এ খাতকে চাঙা করা সম্ভব হলে কর্মসংস্থান বাড়বে। একই সঙ্গে চাঙা হবে গ্রামীণ অর্থনীতি। স¤প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এ ধরনের একটি স্কিম চালু করেছে। এর ফলে তাদের দেশেও এসব খাতে ঋত বিতরণ বেড়েছে।
এ স্কিমের আওতায় এসব খাতে চলতি মূলধন ঋণের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত গ্যারান্টি দেওয়া হবে। এর মধ্যে উৎপাদন ও সেবা খাতের ঋণের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ এবং ট্রেডিং খাতে ঋণের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত গ্যারান্টি দেওয়া যাবে। ঋত দিতে হবে জামানতবিহীন। অগ্রাধিকার দিতে হবে গ্রামীণ কুটির, ক্ষুদ্র ও মাইক্রো শিল্পকে।
নতুন কোনও গ্রাহক ঋত নিতে চাইলে তাদেরও এর আওতায় ঋত দেওয়া যাবে। গ্রাহকের ঋণের পরিমাণ যাই হোক সর্বনিম্ন ২ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে এ গ্যারান্টি দেওয়া হবে।
এর বেশি বা কম ঋত থাকলে তার ওপর এই গ্যারান্টি প্রযোজ্য হবে না।
এর বেশি খেলাপি ঋত থাকলে তারা এটির আওতায় কোনও সুবিধা পাবেন না। তবে সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য হবে না।