ক্বণন’র ধারাবাহিক আয়োজন তানিমের একক আবৃত্তি
কবিতা ও ধ্বনি-শিল্পের মেলবন্ধনের নান্দনিক পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হলো ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গন আয়োজিত ‘মহড়া কক্ষে একক আবৃত্তি’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। সম্প্রতি চেরাগী পাহাড় ক্বণন’প মহড়া কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন ক্বণন সদস্য আবছার উদ্দিন তানিম। ক্বণন সভাপতি ও আবৃত্তির শিক্ষক মোসতাক খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সূচনা বক্তব্য রাখেন ক্বণন কার্যকরী পরিষদ সদস্য আবৃত্তি শিল্পী সৌভিক চৌধুরী, পর্যালোচনামূলক বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্সী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বাংলার শিক্ষক আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ মুহাম্মদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, ক্বণন সদস্য সাইমুম মুরতাজা। পর্যালোচনামূলক বক্তব্যে প্রেসিডেন্সী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বাংলার শিক্ষক আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ মুহাম্মদ বলেন, বিকশিত হবার সুযোগ না দিলে শিল্পী তৈরি হয় না। সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ও প্রশিক্ষক মোসতাক খন্দকার বলেন, আবৃত্তি শিল্গের চর্চা ও প্রসারে চৌত্রিশ বছর ধরে ক্বণন তার নিঃস্বার্থ প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। আবছার উদ্দিন তানিম স্বাধীনতার মাসের কথা উল্লেখ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা দিয়েই তার আবৃত্তির একক পরিবেশনা শুরু করে। প্রথমেই আবৃত্তি করে শামসুর রাহমানের ‘তুমি বলেছিলে’। এরপর একে একে আবৃত্তি করে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ‘গোলাপের জন্য প্রার্থনা’, অজয় বিশ্বাসের ‘প্রশ্নটা বৃক্ষের কাছে’, আবু হেনা মোস্তফা কামালের ‘দূও যাত্রার পারানি’, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর ‘আসবে না কেউ’, আবুল হাসানের ‘আমি অনেক কষ্টে আছি’, সিকদার আমিনুল হকের ‘তোমার অপেক্ষায় ছিল সবাই’ এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষের মাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘সেই রাত্রির কল্পকাহিনী’। বিজ্ঞপ্তি