এফবিসিসিআই’র তাগিদ মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের

13

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বহুকাল ধরেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা। কিন্তু দু’দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ খুবই কম। তাই দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের তাগিদ দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। শনিবার ১৪ অক্টোবর রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে-কের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এ আহবান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এসময় এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি শমী কায়সার ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মাহবুবুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য চলে আসছে। একসময় চট্টগ্রাম থেকে নৌ-পথে ইয়াঙ্গুনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পন্ন হতো। কিন্তু বেশ কিছু কারণে বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের হার কিছুটা কমে এসেছে। দু’দেশের সম্ভাবনাময় অনেক খাত থাকলেও সেই সুযোগ আমরা ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। রোহিঙ্গা সমস্যাসহ দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করলে বাণিজ্যিকভাবে উভয় দেশই লাভবান হবে। এসময় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প, সিরামিক, পাট, চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যে বিশ্বব্যাপী দারুণ সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে মিয়ানমার। পাশাপাশি চাল, পেঁয়াজ, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য মিয়ানমার থেকে আমদানি করতে পারে বাংলাদেশ। এছাড়া এদেশের জ্বালানির চাহিদা পূরণে মিয়ানমার এগিয়ে আসতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি। এসময় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে। ১৯৭১ সালে যে ৫টি দেশ বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়, তার মধ্যে একটি হল মিয়ানমার। দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে মিয়ানমার আগ্রহী।