উদয়নের গোলবন্যায় ভেসে রেলিগেশনে পুলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ব্রাদার্স মুক্তিযোদ্ধার কাছে বন্দরের পরাজয়

5

 

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ গত মওসুমেই প্রথম বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রিমিয়ার ডিভিশনে উঠেছিল। আর চট্টগ্রাম ফুটবলাঙ্গনের সর্বোচ্চ শিখরে উঠেই তাদের প্রিমিয়ারে খেলার স্বাদ মিঠে গেল? কোন কোটার খেলোয়াড় নাই, খেলোয়াড়দের মাঝেও নেই কোন উৎসাহ-উদ্দীপনা। জয়ের জন্য মাঠে নেমেছে এমন বডি ল্যাঙ্গুয়েজও দেখা যায়নি কখনও। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ৭ খেলার ৭টিতেই হেরেছে বড় ব্যবধানে, গোল হজম করেছে ৩১টি, বিপরীতে তারা গোল দিতে পেরেছে ৪টি। আরো হতাশার বিষয় হলো, এ যাবৎ যে ৮টি হ্যাটট্রিক হয়েছে তার ৬ টিই পুলিশের বিপক্ষে। বাকী দু’ম্যাচে কি হয় এখন তাই দেখার বিষয়। তবে জেলা পুলিশ যে আবার প্রথম বিভাগে ফিরে যাচ্ছে এটা নিশ্চিৎই বলা যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে দিনের প্রথম খেলায় উদয়ন ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশকে। এ খেলায় হ্যাট্রিক করেন বিজয়ী দলের অধিনায়ক হোসাইন মোহাম্মদ আরিফ। অন্য তিনটি গোল করেন ইমন আলী, নাফিজ ইকবাল ও সাইফুল ইসলাম তুহিন। পুলিশের একমাত্র গোলদাতা ইসহাক।
আরিফ হ্যাটট্রিক করলেও ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় তারকা মামুনুল ইসলাম। তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সিজেকেএস কাউন্সিলর, প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের স্পন্সর অনুপ বিশ্বাস।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বাধাগ্রস্ত ২য় ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র ১-০ গোলে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতিকে পরাজিত করে। খেলার ৮৫ তম মিনিটে মতি জয়সূচক গোলটি করেন। মুক্তিযোদ্ধার কাছে এ পরাজয়ে লিগ শিরোপা থেকে ছিটকে পড়লো বন্দর। ৭ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। অপরদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১৯ পয়েন্ট পাওয়ায় তাদেরকে দু’ম্যাচ বাকী থাকতেই এ মুহুর্তে লিগ চ্যাম্পিয়ন বলা যায়।
কেননা অলৌকিক কিছু না ঘটলে পরের দু’ম্যাচেই ব্রাদার্স হেরে যাবে এবং বন্দর নিজেদের দু’ম্যাচেই জিতবে এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ৭ খেলায় মুক্তিযোদ্ধার পয়েন্ট ৮। সে হিসেবে পুলিশ দল অবনমিত হয়ে গেল অর্থাৎ আগামী মওসুমে তারা আবার প্রথম বিভাগে। ম্যাচ সেরা মুক্তিযোদ্ধার অধিনায়ক অং এর হাত ক্রেস্ট তুলে দেন সিজেকেএস কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ খান শাহিন। আজ প্রিমিয়ারে কোন খেলা নাই।