উচ্চশিক্ষার জন্য চীন যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

42

 

চীনে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ২ হাজার ৮৫০টি, যার মধ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাই প্রায় আড়াই হাজার। এ ছাড়া বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ৩০০। চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৭ সালে বাইরে থেকে চীনে পড়তে গেছেন প্রায় ৪ লাখ ৪২ হাজার শিক্ষার্থী। ২০০০ সালে সংখ্যাটা ৫২ হাজার ১৫০ জন। ২০২২ সাল থেকে প্রতি বছর অন্তত ৬ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী নেওয়ার পরিকল্পনা করছে চীন। মানসম্মত শিক্ষা, বাংলাদেশের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য, ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার সুযোগ, বৃত্তিসুবিধা এবং তুলনামূলক কম খরচের কারণে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের জন্য চীনমুখী হচ্ছেন। বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে অনলাইনে বেশ ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে। চীনে প্রতিবছর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য বৃত্তি দেওয়া হয়। বৃত্তির বিভিন্ন প্রকার আছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি, হোস্টেল ফি মওকুফের পাশাপাশি মাসিক ভাতার ব্যবস্থাও আছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এসব সুবিধা দেয়, তাদের কিছু শর্ত থাকে। যেমন ক্লাসে ৯০ শতাংশ উপস্থিতি, সব বিষয়ে কৃতকার্যতা, সব বিষয়ে ৭০-৮০ শতাংশ নম্বর ইত্যাদি। তাই যারা মনে করেন এ রকম শর্ত মেনে চলা কঠিন হবে, তাদের জন্য নিঃশর্ত বৃত্তিই (আনকন্ডিশনাল স্কলারশিপ) ভালো।
বৃত্তি পেতে হলে পছন্দসই চীনা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা চায়নিজ স্কলারশিপ কাউন্সিলের (সিএসসি) ওয়েবসাইটে চোখ রাখতে পারেন।