‘আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, আমরা সব মেনে নিতে পারি।’

29

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি:
বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পষ্ট হওয়া কাজী সাফায়েত উল্যাহ কিছুদিন তার ফেইসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন- “আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, আমরা সব মেনে নিতে পারি।” সন্দ্বীপে মধ্যবিত্ত একটি পরিবারে বেড়ে উঠা ছেলে কাজী সাফায়েত। বয়স তার ২০বছর। পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড বাসিন্দা কাজী বাকায়েত উল্যাহ’র ছেলে সাফায়েত। পড়াশুনা দ্বীপের মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। তার ফেসবুক আইডিতে দেখা যায় স্ট্যাটাস গুলো অর্থিক অসচ্ছলতা এবং মানসিক বিষন্নতার ইঙ্গিত করে। জানা যায়, সাফায়েতর পরিবার মধ্যবিত্ত পরিবার। তাকে পরিবার থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল কাজ শিখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার পরিবার জানতে পারে সে বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। তখন পরিবার বিষয়টি নিষেধ করে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সে পরিবারকে না জানিয়ে খুঁটিতে উঠে ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি করেছে। বয়সটা তার ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় পড়াশুনায় মেতে থাকার। কিন্তু এই বয়সে পরিবার তাকে ইলেক্ট্রিক্যাল কাজ শেখার জন্যে বলে। এলাকা সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক সচ্ছলতা ফিরে আসার জন্যে তাকে কাজ শেখার জন্যে বলা হয়। নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে সাফায়েত বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ৩০মিনিটে পৌরসভা কলাতলি বাজারে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে মিটার সংযোগ ঠিক করার জন্যে খুঁটির উপরে উঠে। সেখানেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। দ্রুত এলাকাবাসী এবং স্বজনরা সরকারি ৫০ শয্যা গাছুয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। আইসিউ না থাকার কারণে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চট্টগ্রাম রেফার করেন। স্বজনরা এরপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকেও তাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এবং চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার রেফার করে তারা। পরবর্তীতে দুইটি সী-অ্যাম্বুলেন্স অকেজো পড়ে থাকার কারণে গুপ্তছড়া ঘাট দিয়ে লালবোটে করে চট্টগ্রাম আনা হয়। রাতেই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিউতে ভর্তি করানো হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাফায়েতের এখনো জ্ঞান ফিরে নি। তার অবস্থা আশংকাজনক। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খিসা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।