আগস্টে রপ্তানি আয় ৪৭৮ কোটি ডলার

20

সদ্য শেষ হওয়া আগস্টে রফতানি আয়ের লক্ষ্য পূরণ না হলেও ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মাসটিতে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৪৭৮ কোটি ডলার বা ৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। এদিকে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ১২ শতাংশ। সবমিলিয়ে নতুন অর্থবছরের শুরুতে দেশের রফতানি আয় ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ইপিবির তথ্য মতে, আগস্টে রফতানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। মাসটিতে বাংলাদেশের আয় ৪৭৮ কোটি ডলার। ২০২২ সালে আয় হয়েছিল ৪৬০ কোটি ডলার। তবে সদ্য শেষ হওয়া আগস্ট মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যের চেয়ে রফতানি আয় কম হয়েছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ। ইপিবি বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রফতানি আয় ৯৩৭ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এই সময়ে রফতানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৯৩৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। লক্ষ্যের চেয়ে রফতানি বেড়েছে দশমিক ২৬ শতাংশ। এর আগে গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয় ছিল ৮৯১ কোটি ১৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরের শুরু দুই মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ১২ শতাংশ।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম দুই মাসে পোশাক রফতানিতে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এই সময়ে পোশাক রফতানির যে লক্ষ্য ধরা হয়েছিল তার চেয়ে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। পোশাকের মধ্যে নিটওয়্যার রফতানিতে প্রবৃদ্ধি ১৭ শতাংশ এবং ওভেনে ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে প্লাস্টিক পণ্যও। প্রথম দুই মাসে প্লাস্টি পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এদিকে, নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে হিমায়িত মাছ, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য ও হোম টেক্সাইলে। সারাবাংলা