অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন এখন মনে হচ্ছে, কাজটা কঠিন ছিল : পরীমনি

16

“শিশুদের মেইনটেইন করা, তাদের থেকে অভিনয় বের করে আনা অনেক কঠিন। যখন শুটিং করেছি বুঝিনি। স্ক্রিনে দেখার পর মনে হয়েছে”, বলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মুক্তির পর দ্বিতীয় সপ্তাহের মত সিনেমাহলগুলোতে চলছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’, যেখানে উঠে এসেছে সুন্দরবনে নৌবিহারে গিয়ে একদল শিশুর ডাকাতদের কবলে পড়া এবং তাদের উদ্ধারের গল্প।
অধ্যাপক জাফর ইকবালের ‘রাতুলের দিন রাতুলের রাত’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এ সিনেমায় একঝাঁক শিশুর সঙ্গে কাজ করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি; বইয়ের গল্পের চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে অভিনয়টা ‘কঠিন ছিল’ বলেই এখন তার মনে হচ্ছে। পরীমনির কথায়, “শিশুদের মেইনটেইন করা, তাদের থেকে অভিনয় বের করে আনা অনেক কঠিন। যখন শুটিং করেছি, বুঝিনি। স্ক্রিনে দেখার পর মনে হয়েছে এই কাজটা অনেক টাফ ছিল।”
সিনেমা দেখার পর অধ্যাপক জাফর ইকবালও প্রশংসা করেছেন বলে জানান এ অভিনেত্রী। সিনেমার প্রচারে নির্মাতা ও শিল্পীরা বিভিন্ন হল ঘুরছেন। দর্শকদের সঙ্গে সিনেমা দেখছেন। পরীমনি বলেন, একবার শিশুদের সঙ্গে সিনেমাটা দেখলাম। হলের ভেতর অনেক মানুষ, শিশুদের তো তাদের বাবা-মা নিয়ে এসেছিলেন। সেই তুলনায় শিশু কম ছিল। কিন্তু সিনেমার পুরো সময়টা শিশুদের হাসি, তালিতে মুখর ছিল পুরো হল। উত্তেজনা কিংবা আনন্দের মুহূর্তে ওরা সিট থেকে দাঁড়িয়ে যায়। এসব দেখতে কী যে ভালো লাগে। শিশুদের মেইনটেইন করা, তাদের থেকে অভিনয় বের করে আনা অনেক কঠিন। জাফর ইকবাল স্যার নিজেও এটা বলেছেন। আমরা যখন শুটিং করেছি, বুঝিনি। স্ক্রিনে দেখার পর মনে হয়েছে এই কাজটা অনেক টাফ ছিল।