স্বেচ্ছাসেবক দলের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

29

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেছেন, করোনায় প্রতিদিন আক্রান্ত ও লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। এই মৃত্যুর দায় সরকার এড়াতে পারেনা। কারণ চীনে যখন করোনায় মহামারি শুরু হলো, তখন সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যদি প্রথম থেকে তারা পদক্ষেপ নিত তাহলে আজ লাশের সারি এতো দীর্ঘ হতো না। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। তাদের জন্য সরকার হাসপাতালে একটি সিটের ব্যবস্থা করতে পারেনি। পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করতে পারেনি। তাহলে আজ সাধারণ মানুষের কী অবস্থা? তিনি গত ১৪ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর সিরাজুদ্দৌলাহ সড়কের সাবেরিয়া এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল হিসেবে সবসময় তাদের পাশে থাকে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে নির্দেশ দিয়েছেন জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ত্রাণ কার্যক্রম মনিটরিং করছেন।তাদের নির্দেশে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এই দরিদ্র, নিরন্ন, কর্মহীন, দিন-আনে দিন খায় এমন মানুষকে এই ত্রাণ বিতরন করা হচ্ছে। সাধ্যমতো সারা বাংলাদেশে কোথাও না কোথাও আমাদের লোকজন ত্রাণ দিচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, বলেন, করোনা ভাইরাসে চট্টগ্রাম এখন বিপর্যস্ত। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ আর মৃত্যুর হার। মাত্র দুই মাসেই হটস্পটে পৌঁছে গেছে চট্টগ্রাম। এক অচিন্তনীয় দুর্দিন পার করছে চট্টগ্রামের মানুষ। তাদের প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে এক অজানা ভয় আর আতঙ্কে। আর সরকার ব্যবসায়ীদের সাথে আপোষ করে লকডাউন শিথিল করে দিয়েছে। এতে করোনা বিস্তারের পথ আরো প্রশস্ত করা হলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিঃ যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দীন নাহিদ সহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড় নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি