শহীদ মোজাম্মেলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

55

১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী কুখ্যাত মজিদ খানের শিক্ষানীতি বিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় জাফর-জয়নাল-মোজাম্মেল-দীপালী সাহাসহ অনেক ছাত্র নেতৃবৃন্দ তৎকালীন সামরিক স্বৈরাচার সরকারের পুলিশের গুলিতে শহিদ হন। তারই প্রতিবাদে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের ছাত্র সমাজ মিছিল সমাবেশের ডাক দেন। সেদিন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ঢাকার হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বিশাল ছাত্র গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ চলাকালীন সময়ে অতর্কিতভাবে পুলিশ-বিডিআর সমাবেশের উপর গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে একপর্যায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র মোজাম্মেল নিহত হন। শহিদ মোজাম্মেলের স্মরণে সম্প্রতি সংগঠনের উদ্যেগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ৮০-র দশকের ছাত্র নেতৃবৃন্দের সমন্বয় পরিষদের আহব্বায়ক তৎকালীন ছাত্র নেতা কমরেড অশোক সাহার সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পাদদেশে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য রাখেন, ৮০-র দশকের ছাত্রনেতা খোরশেদ আলম সুজন, ইমতিয়াজ উদ্দিন পাশা, সিরাজুল ইসলাম রাজু, জামশেদুল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, রাশেদ মনোয়ার, তারেক সোলায়মান সেলিম, মশিউর রহমান চৌধুরী, মো. নজরুল ও সমরেশ বৈদ্য প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, ৮৩-র মধ্য ফেব্রুয়ারীর ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সারা দেশে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে যে গণআন্দোলন সৃষ্টি হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় ৯০ সালের সামরিক সরকারের পতন ঘটেছিলো। তাই যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন ইতিহাসে মধ্য ফেব্রূয়ারীর শহিদদের আত্মদান অমর হয়ে থাকবে। সমাবেশ শেষে শহিদ মোজাম্মেল স্মরণে চট্টগ্রাম শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি