শব্দনোঙরের আবৃত্তিসন্ধ্যা ‘বেলা অবেলার ধ্বনি’

82

গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শব্দনোঙর আবৃত্তি সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় “বেলা অবেলার ধ্বনি”। এতে বাচিক শিল্পী হাসান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা. এ.কিউ.এম সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম হচ্ছে আবৃত্তিচর্চার বাতিঘর। শব্দনোঙরের ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল কাজগুলো আবৃত্তিচর্চায় এনেছে আলাদা ঘরানা”। অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়–য়া। তিনি বলেন, “আবৃত্তিচর্চা তরুণদের মধ্যে জাগিয়ে তুলছে দেশপ্রেম। বাংলাদেশকে গড়ে তুলছে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক দেশ হিসেবে”। বাচিক শিল্পী হাসান জাহাঙ্গীর বলেন, “শব্দনোঙর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে চলছে আবৃত্তির অগ্রসৈনিক হিসেবে। দেশের সকল মানবিক সংকটে এবং সুস্থ সংস্কৃতি ও দেশ গড়ার আন্দোলনে এই সংগঠন মঞ্চে ও রাজপথে থাকতে বদ্ধপরিকর”। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উপস্থাপিকা দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় প্রথমে দলীয় প্রযোজনা ‘মুক্তির সুর’ নিয়ে মঞ্চে আসেন শব্দনোঙরের সদস্যরা। এটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন হাসান জাহাঙ্গীর। অংশগ্রহণ করেন শামীম, সায়েম, মিশাত, নাঈম, সাঈদ, নাসরিন, মৌপিয়া, করবী, বৃষ্টি, সুপর্ণা, সৃজন। প্রথমপর্বে একক আবৃত্তি নিয়ে আসেন ফয়েজুল্লাহ সাঈদ, এহতেশামুল হক ও করবী চৌধুরী। ফয়েজুল্লাহ সাঈদ আবৃত্তি করেন শামসুর রহমানের ‘যুদ্ধ জয়ের কথা’, লুৎফুর রহমান লিটনের ‘পুঁথি’, মারুফ রায়হানের ‘সবুজ শাড়ীতে লাল রঙের ছোপ’, আসাদ চৌধুরী’র ‘বারবার বিডলার’কে এবং শরৎ কুমারের ‘ঝিনাই নদীর বাঁকে’। এহতেশামুল হক আবৃত্তি করেন শামসুর রহমানের ‘পান্থজন’, আল মাহমুদের ‘কবিতার কথা’, শেখর বরণের ‘আছর’ এবং তাসলিমা নাসরিনের ‘রুদ্র্রকে নিয়ে চিঠি’ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মেজাজ’ এবং কাজী নজরুল ইসলামের ‘কান্ডারী হুঁশিয়ার’। দ্বিতীয়পর্বে আবৃত্তি করেন জসিম উদ্দিন বকুল, দেবাশীষ রুদ্র এবং মৌপিয়া বিশ্বাস। জসিম উদ্দিন বকুল আবৃত্তি করেন শামসুর রহমানের ‘দুঃস্বপ্নে একদিন’, আসাদ চৌধুরী’র ‘সত্যফেরারী’, জাহিদুল হকের ‘জাতিষ্মর’, আবুল হাসানের ‘আমি অনেক কষ্টে আছি’ আবুল হাসানের ‘পাতকী সংলাপ’, সুবোধ সরকারের ‘দুর্ঘো’, এবং ‘রামবাবু’। দেবাশীষ রুদ্র আবৃত্তি করেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘আমি কি রকম বেঁচে আছি’, নির্মলেন্দু গুণের ‘আকাশ সিরিজ’, জীবনানন্দ দাশের ‘উল্লেখযোগ্য স্মৃতি’, আখতারুজ্জামান আজাদের ‘ব্যাটারটা বেশ শকিং’, কামাল চৌধুরী’র ‘নিয়াজী যখন আত্মসম্পর্ণ লিখছে’, ভাস্কর চৌধুরী’র ‘আমার বন্ধু নিরঞ্জন’, মৌপিয়া বিশ্বাস আবৃত্তি করেন সুবোধ সরকারের ‘শাড়ী’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পরিচয়’ এবং মহাদেব সাহার ‘সে দিনটা কেমন ছিলো’। আবহ সঙ্গীতে ছিলেন সৃজন রায় এবং জুয়েল দাশ। বিজ্ঞপ্তি