লিটনের আউট নিয়ে ক্ষোভ

17

আফগানিস্তানের স্পিনারদের সামলাতে পাঁচ নম্বর থেকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হলো লিটন দাসকে। দারুণ শুরু করে পছন্দের জায়গায় স্বচ্ছন্দেই খেলছিলেন এই ওপেনার। কিন্তু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বলি হয়ে ফিরতে হলো তাকে প্যাভিলিয়নে। তার এই আউট নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে।
সাউদাম্পটনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুজিব উর রহমানের বলে কভারে নিচু ক্যাচ নেন হাশমতউল্লাহ শহীদি। কিন্তু বল তার তালুবন্দি হওয়ার আগেই ঘাস ছুঁয়ে গেছে কিনা, খালি চোখে ফিল্ড আম্পায়াররা নিশ্চিত ছিলেন না। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য থার্ড আম্পায়ার আলিম দারের সাহায্য চান। একই সঙ্গে মাঠ থেকে আউটের ‘সফট সিগন্যাল’ দিয়ে রাখেন তারা।
আলিম দার ‘জুম’ করে বারবার দেখেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছিলেন না। কারণ বল ঘাস ছুঁয়ে হাশমতউল্লাহ তালুতে জড়িয়েছে বলেই মনে হচ্ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত আউটের সিদ্ধান্তই জানানো হয় থার্ড আম্পায়ার থেকে। মূলত ফিল্ড আম্পায়ারের ‘সফট সিগন্যাল’ই এই আউটে বড় ভূমিকা রেখেছে। অথচ কোনও আউট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারলে তা ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যায়। এরপরও লিটন দাসকে আউট দেওয়ায় ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সমালোচনা করে সাজ্জাত শান্ত নামের একজনের টুইট, ‘প্রিয় আইসিসি, মাঠের আম্পায়ারদের না রেখে খেললে কেমন হয়? এটা কি ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্ত নয়? লিটন দাস আউট হননি।’
আলমগীর হোসেন নামের একজন কাঠগড়ায় তুলেছেন থার্ড আম্পায়ার আলিম দারকে। লিটনের আউটের জন্য পাকিস্তানি এই আম্পায়ারের ঘাড়েই দোষ চাপাচ্ছেন, ‘লিটন দাস আউট হননি। আলিম দারের বাজে সিদ্ধান্ত।’ ট্রেভিস টিপস নামের একজনও বলছেন লিটন আউট ছিলেন না, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না এটা আউট। হাতে যাওয়ার আগে পরিষ্কারভাবেই বল মাটি ছুঁয়ে গেছে।’