মুজিব কোট ও চশমা পরে শিক্ষার্থীরা ৭ মার্চের ভাষণ পরিবেশন করবে

81

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা চলছে। আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী স্বাড়ম্বরে পালনের লক্ষ্যে সকলের সমন্বয়ে নগরীর এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঐদিন সকালে আনন্দ র‌্যালি, নগরীর বিভিন্ন স্কুলের ২০২০ জন শিক্ষার্থী মুজিব কোট ও চশমা পরিধান করে একযোগে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন পরিবেশন করবে। বাকী শিক্ষার্থীরা ও সর্বস্তরের মানুষ সাধারণ পোষাকে কর্মসূচীতে অংশ নেবে। গত ১৯ ফেব্রূয়ারি বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বিগত ১১ বছরে দেশের প্রত্যেকটি উন্নয়ন কাজ দৃশ্যমান। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এদেশকে মধ্যম আয়ের ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নে এখন থেকে সরকারী-বেসরকারী প্রত্যেক প্রতিষ্টানকে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। সরকারের উন্নয়ন কাজগুলো শতভাগ সম্পন্ন না হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদেরকে বিল পরিশোধ না করতে মন্ত্রনালয়ে জানানো হবে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলোর নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজগুলো যাতে করা না হয় সে ব্যাপারে সজাগদৃষ্টি রাখতে হবে। ভোগান্তি লাঘবে বর্ষা মৌসুম শুরুর পূর্বে সরকারের সকল প্রকল্পের কাজ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে হবে। ডিসি বলেন, রাস্তার পার্শ্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও অবৈধ বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণসহ জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জেলার বিভিন্ন এলাকার নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ফসলি জমির উর্বরতা নষ্ট করে টপ সয়েল তুলে নিয়ে ইট ভাটাসহ অন্যান্য স্থানে নেয়া বন্ধ করা ও বন উজার করে কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) একেএম এমরান ভূইয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সাহাব উদ্দিন, মহানগরীর সহকারী কমান্ডার এফ.এফ আকবর খান, উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (আনোয়ারা) আবদুল জব্বার চৌধুরী (চন্দনাইশ), মোঃ জসিম উদ্দিন (মিরশ্বরাই), হোসাইন মোঃ আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), মোঃ নুরুল আলম (বোয়ালখালী), মোতাহেরুল ইসলাম (পটিয়া), উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন (বোয়ালখালী), মোঃ রুহুল আমীন (হাটহাজারী), শেখ জোবায়ের আহমদ (আনোয়ারা), মোমেনা আক্তার (বাঁশখালী), ফারহানা জাহান উপমা (পটিয়া), মোঃ নোমান হোসেন (কর্ণফুলী), তৌছিফ আহমেদ (লোহাগাড়া), মোঃ রুহুল আমিন (মিরশ্বরাই), মোঃ সায়েদুল আরেফিন (ফটিকছড়ি), জোনায়েদ কবীর সোহাগ (রাউজান), ইমতিয়াজ হোসেন (চন্দনাইশ), মাসুদুর রহমান (রাঙ্গুনিয়া), উত্তর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বখতিয়ার নূও সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জি.এম মোঃ আবু বক্কও সিদ্দিকী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জি.এম আবুল কালাম আজাদ, বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন মালিক গ্রূপের সভাপতি মোঃ আব্দুল মান্নান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাধবী বড়ুয়া, জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, পৌর মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু (বোয়ালখালী), মোঃ মাহাবুবুল আলম (চন্দনাইশ), মোঃ গিয়াস উদ্দিন (মিরশ্বাই), মোঃ নিজাম উদ্দিন (বারৈয়ারহাট), পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী, জেলা ট্রাক-কভার্ডভ্যান এন্ড মিনি ট্রাক মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম মোস্তফা, পাঁচলাইশ থানা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিয়া খাতুন, সওজ’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার, বিউবো’র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুপান্তর চাকমা, জেলা পরিষদের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোঃ আবদুল মান্নানওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোঃ ইমরান প্রমূখ। সভায় সরকারের বিভিন্নস্তরে কর্মরত কর্মকর্তা, উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সদস্য ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি