বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যার ঘটনা একসূত্রে গাঁথা

28

এম এ লতিফ এমপি :
এম. এ. লতিফ এমপি’র উদ্যোগে জাতীয় জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে সাংসদের ৩নং জেটি গেইটস্থ দলীয় কার্যালয়ে ০৩ নভেম্বর সকাল ১১.০০ টায় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন-দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠনের প্রারম্ভে সোনার বাংলাকে মেধাহীন করতে স্বাধীনতা বিরোধীরা জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামরুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তাঁরা জাতীয় চার নেতার পলাতক হত্যাকারীদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার জোর দাবী জানান। দোয়া মাহফিলে ফকিরহাট শেখ আবদুল লতিফ জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন এর পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের সফলতা ও করোনা ভাইরাস থেকে দেশবাসীকে রক্ষার এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতির জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়। ব্যাংকক থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে তাঁর বাসভবনে বর্তমানে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা এম. এ. লতিফ এমপি’র সুস্থতার জন্যও দোয়া করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল আজিজ মোল্লা, ৩৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি এম. হাসান মুরাদ, লবণ শ্রমিকলীগ সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, ৩৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন কবি, বন্দর সিবিএর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক, স্বাধীনতা নারী শক্তি’ সংগঠনের পরিচালক অধ্যাপিকা বিবি মরিয়ম, ২৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ’র সভাপতি মোঃ আফছার উদ্দিন, ৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ’র যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন, সিএন্ডএফ এসোসিয়েশন’র সহ-সভাপতি জহুর আলম, ২৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সুফিউর রহমান টিপু ৩৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সালাহ উদ্দিন বাবর।
মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ :
চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কালোরাত্রিতে জেলহত্যাকান্ডে চারজন জাতীয় নেতাকে হত্যা করে একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর ঘাতকরা এদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। ৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ একুশটি বছর সেই অপচেষ্টায় অব্যাহত ছিল। কিন্তু ইতিহাসের অনিবার্য পরিণতি অনুযায়ী ঘাতকদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থই শুধু নয়, ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রয়াত এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চশমা হিলস্থ বাসভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এ কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাত্তরের পরাজিত শক্তির সকল দম্ভ ও ষড়যন্ত্র চূর্ণ করে দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বাঙালি জাতীয় সত্তাকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত করেছেন। তাই শেখ হাসিনাই বাঙালি জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষার প্রধান শক্তি। দলের উদ্দেশ্য ও নীতিবাক্য যতই শুদ্ধতম হোক না কেনো নেতৃত্ব যদি দূষিত ও কলঙ্কিত হয় তাহলে কোন মহৎ উদ্দেশ্য-ই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না বরং লক্ষ্যচ্যুত হয়ে বিভ্রান্তির চোরাবালিতে ঘুরপাক খেতে হয়। আমরা যেন এ অবস্থার মুখোমুখি না হই। তাহলেই আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত থাকবে।
চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নীলু নাগ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মালেকা চৌধুরী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য রহমতুন্নেছা, হাসিনা আক্তার টুনু, হুরে আরা বিউটি, শারমিন ফারুক, রোকসানা আক্তার, আয়েশা আলম, সদস্য আয়েশা ছিদ্দিকা, পারভীন আক্তার, সোনিয়া ইদ্রিস, আয়েশা আক্তার পান্না, জেনিফার, শিরীন আক্তার, কামরুন নাহার বেবি, রুমানা আক্তার রুমা, শাহীন ফেরদৌসী, চেমন আরা, কান্তা ইসলাম মিনু, জোহরা বেগম, হোসনে আরা সোমা, শাহীন আক্তার রোজী, নন্দিতা দাশ গুপ্তা, জাহেদা বেগম, মনোয়ার বেগম মনি, সুলতানা, শাবানা, তপতী সেন, সানিয়া কবির, জাহেদা বেগম প্রমুখ।
দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ:
৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবসে জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফিরাত কামনায় ১৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাকলিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা গতকাল বাদ মাগরিব মিয়াখানপুল সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ৩ নং ইউনিট আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুন নুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। যুগ্ম-আহবায়ক শফিউল আজম বাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন আব্দুস সবুর, জাহাঙ্গীর আলম জেবু, হোসেন টিটু, আবুল কালাম,দস্তগীর আলম সুমন, সাগির আলম সাগর, আরিফ, সোহেল, ইমতিয়াজ রাহাত, সজীব, সোবহান, ইরফান প্রমুখ। বক্তারা বলেন জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়েও জাতীর পিতার খুনীদের সাথে কোনরকম আপোষ না করে জাতীয় চার নেতা ত্যাগের যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তার থেকেই আমাদের শিক্ষা নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন বাস্তবায়ক করতে হবে।দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা নুর মোহাম্মদ।
অবিনাশী৭১ মুক্তিযুদ্ধ ও প্রয়াত নেতা সন্তান পরিষদ :
অবিনাশী’৭১ মুক্তিযুদ্ধ ও প্রয়াত নেতা সন্তান পরিষদের উদ্যোগে অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় চার নেতার স্মরণে এক স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিল সংগঠনের সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদ বাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সীজার বড়ুয়ার পরিচালনায় উক্ত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মো: রেদোয়ান, মেরাজ তাহসিন শফি, অধ্যাপিকা ফাতেমা জামান ডল, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী আমিনুল ইসলাম বাবু। এতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন এমরান মিয়া চৌধুরী, মুসফিকুর আলম (শাহীন), আসাদুজ্জামান খান, ভাস্কর চৌধুরী, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, নিজাম উদ্দিন সুলতান, জুলকার নাইন মাহমুদ, রুবা আহসান, আব্দুল আল মামুন, জয়নুদ্দিন জয়, কাজী মুনিরুল ইসলাম, বেলাল মিয়া, মো: মহিউদ্দিন মহিন, মো: জাবেদ, রেজাউল করিম, সরওয়ার খান, আব্দুন হক, জান্নাতুল মাওয়া সীমা, সাইমুন নাহার, সুমি আকতার, নাসিমা আকবর, পারভীন আকতার, রুনা আকতার মিলি আকতার, সুমনা আকতার, সুর্বণা খান, মুক্তা জামান, শবনম জামিল প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা ফাউন্ডেশন :
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা ফাউন্ডেশন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংগঠন বিজয়’৭১ এর যৌথ আয়োজনে ১৯৭৫ এর ঘৃণ্যতম দিন জাতীয় চারনেতা জেল হত্যা দিবস পালন করা হয়। স্থানীয় কদম মোবারক এতিমখানা মার্কেট এর সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। সংগঠনের সাংগঠনিক সচিব (৩) এস.এম জাবেদ হোসেন’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কিরণ লাল আচার্য, রেখা আলম চৌধুরী, সুজিত কুমার দাশ, বিজয়’৭১ সভাপতি সজল চৌধুরী, পরিমল দেব, এড. নীলু কান্তি দাশ নীলমনি, মুহাম্মদ সেলিম, মহাসচিব লায়ন ডা: আর. কে রুবেল, সমন্বয়কারী মো: জসিম উদ্দীন চৌধুরী, অমর কান্তি দত্ত, শিক্ষিকা নীলা বোস, শিক্ষিকা শিল্পী বসাক, আলহাজ্ব ডা: মুজিবুল হক চৌধুরী, ডা: মনির আজাদ, রোপি দাশ সুমি, আনিসুর রহমান ফরহাদ, সঙ্গীত শিল্পী সমীরন পাল প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয় চারনেতা হত্যাকান্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে ধারাবাহিকতা। এ ধরণের বর্বর হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজির বিহীন। ষড়যন্ত্রকারীরা এই হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।
সংগঠনের চেয়ারম্যান চবি’র সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, দেশে এখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্টের এবং ৩রা নভেম্বরের সকল খুনিকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার আড়ালে মূল খলনায়করা এখনো বিচারের বাইরে থেকে গেছে। জেল হত্যাকান্ডের এদিনে আমরা ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্টের এবং ৩রা নভেম্বরের হত্যাকান্ডের সকল কুশীলব, পরিকল্পনাকারী তথা হুকুমদানকারী এবং আড়ালে বসে যারা ক্ষমতার কলকাটি নেড়েছেন তাদেরসহ সকল বেনিফিশারীকে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। এদের বিচার হলেই শহীদের আত্মা শান্তি পাবে এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ কলংকমুক্ত হবে। জাতি হিসেবে আমরা ও দায়মুক্ত হতে পারবো।
বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম চার সহযোগী যথাক্রমে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী ও এ. এইচ. এম কামরুজ্জামান কে ১৯৭৫ এর ৩রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করে ৭১’র পরাজিত শত্রæরা। এর আগে ১৫ আগস্টের পর জাতীয় চার নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় শোকাবহ পরিবেশে পালন করেছে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সৈয়দ রবিউল আলম বাঁধন ও সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব অর্ণব এর নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: আশফাক আজিম খান, প্রচার সম্পাদক শফিক আহমেদ রাহাত সহ মহানগর ছাত্র পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কৃষক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর
৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর এর উদ্যোগে আলোচনা সভা দারুল ফজল মার্কেটস্থ নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাগতি মোঃ আলমগীর হোসেন এর সভাগতিত্বে এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আনোয়ার হাফিজ। আরো বক্তব্য রাখেন এম এ মারুফ, মোঃ সেলিম উদ্দিন, হাসনাত চৌধুরী, ডাঃ আর কে রুবেল, নুর উদ্দিন, এডভোকেট আবু আনিস খান, এডভোকেট রাজিয়া সুলতানা, ওমর আলী সুমন, আনিস আহমেদ মানিক, শাহাব উদ্দিন জুয়েল, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আনিস হাসান, ইফতেখার হাসান, মোঃ আবু সালেহ, সন্দিপন মান্না, মোঃ আজিজুল হক প্রমুখ। বক্তারা জেলহত্যায় নিহতদের স্বপ্ন পূরনের সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষক লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পাশাপাশি সকল দলীয় সংগঠনে অনুপ্রবেশ কারী যোগদান করে নানা অপকর্ম করে দলের সুনাম নষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে সর্তক থাকতে হবে। সভা শেযে জেলহত্যা নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মুনাজাত করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ :
জেল হত্যা দিবসে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর ছাত্রলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইমরান আলী মাসুদ, উপ আইন বিষয়ক সম্পাদক মুনির চৌধুরী, উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ চৌধুরী, উপ ছাত্র-বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির আজাদ, উপ তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক রায়হানুল কবির শামীম, উপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দিন কুতুবী, সহ সম্পদাক অরভিন সাকিব ইভান,ওসমান গনি,সদস্য সজীব রিদওয়ানুল কবির, আবু সায়েম,নেওয়াজ খান,ওমর ফারুখ সুমন, জালাল আহমেদ রানা। বক্তরা বলেন, বাংলাদেশকে মেধাশূন্য ও নেতৃত্বশূন্য করার পরিকল্পনা নিশে এবং দেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে পাকিস্তান মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিনত করার হীন অপচেষ্টার অংশই হলো ৩রা নভেম্বর নৃশ্যংস হত্যাকান্ড। ইনডেমিনিটি আইন পাশ করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে যেসকল ষড়যন্ত্রকারী তারাই আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, যতদিন স্বাধীন বাংলাদেশ থাকবে,জাতীয় চার নেতার অবদান ও আত্মত্যাগ স্বর্নাঅক্ষরে লেখা থাকবে।
এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ :
৩ রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস তথা জাতীয় চারনেতা হত্যাকান্ড দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার লক্ষ্যে ওমরগনি এমইএস কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার বাদে জোহর কলেজ জামে মসজিদে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় চারনেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এতে কলেজ অধ্যক্ষ আ ন ম সরওয়ার আলম, উপাধ্যক্ষ এম রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ও ওমরগনি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান তারেক, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম হাসান আলী, তোফায়েল আহমেদ মামুন, সাইদুর রহমান শাকিল, ইমাম উদ্দীন নয়ন, ইমাম হোসেন ইমন, নুর উদ্দীন তুফান, মুজিবুর রহমান,নুরুল আবছার রাফি, আবুল হাসনাত ইফাত, ইমরান হায়দার, তানভীর ফয়সাল ইভান, আনোয়ারুল ইসলাম জুয়েল, মিঠুন চৌধুরী, মুস্তাকীম তওসীফ, মাহফুজুর রহমান শাহীন, আলিফ হোসেন, সাফায়েত শুভ, আমিনুল ইসলাম রোহান, রাকিবুল হাসান রাকিব, জাবেদ হাসান মিনহাজ, সজল খায়ের, ইফতেখার উদ্দিন ইফতু, জুলাস উদ্দীন, নাঈম আহম্মেদ, মামুনুর রশীদ পাবেল সহ মুসল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরন করা হয়।