‘দেশের মানুষ কৃচ্ছতাসাধন ও ত্যাগস্বীকারে প্রস্তুত’

87

দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেটরা করোনাভাইরাসের অনুরূপ ক্ষতিকারক বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। তিনি গত ৮ এপ্রিল বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপরোক্ত আহবান জানান। এ সময় সুজন বলেন করোনাভাইরাস একটি বৈশ্বিক দুর্যোগ। এ দূর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো দেশের সকল বিবেকবান মানুষের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের সবাইকে কাধে কাধ মিলিয়ে এ দুর্যোগকে মোকাবেলা করতে হবে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের পাশাপশি দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের সকল মানুষ কৃচ্ছতা সাধন এবং ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে দেখা যাচ্ছে যে কিছু কিছু ভোগ্য পণ্য সিন্ডিকেটগণ একদিকে সরকারের ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিচ্ছে ঠিক কিন্তু অন্যদিকে জনগনের নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে সে অনুদানের টাকা একদিনেই জনগনের পকেট থেকে কেটে নিচ্ছে। বিশেষ করে আটা, ভোজ্য তেল, চাল এবং সাধারণ ব্যবহার্য ডালের দাম এক দুইদিন পরপর ১টাকা থেকে দেড় টাকা করে বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের পরিকল্পিত মূল্য বৃদ্ধি করছেন। সরকারকে কঠোর হাতে অতিলোভী অসাধু এসব ব্যবসায়ীকে দমন করতে হবে। তাই ভোগ্য পণ্য সিন্ডিকেটদের কাছ থেকে কোন প্রকার অনুদান গ্রহণ না করে ঐসব সিন্ডিকেটদের আমদানি মূল্যের সাথে কিছু খরচ যোগ করে পণ্যের দাম নির্ধারণে বাধ্য করার জন্য সরকারের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান তিনি। ঐসব সিন্ডিকেটরা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে তাতে করে আসন্ন রমজানে জনগনের নাভিশ্বাস উঠে যাবে। একদিকে করোনার তান্ডবে জনগন দিশোহারা অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে জনগনের উপর আবির্ভূত হবে। যারা জনগনের দূর্দিনে মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে আবির্ভূত হবে তারাও করোনাভাইরাসের অনুরূপ ক্ষতিকারক। তাদের বিরুদ্ধেও মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো অভিযোগ গ্রহণ করা যায় বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন বর্তমানে সরকার এবং সরকারের বিভিন্ন প্রশাসন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দিনরাত বিরামহীনভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ সুযোগে ঐসব মুনাফাখোর সিন্ডিকেটরা তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মজুতদারি এবং অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার জন্য দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের মূল্যতালিকা টাঙানো এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে কি না, সেটি পর্যবেক্ষণের জন্য সব বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা নিয়মিত মনিটরিং করারও আহবান জানান তিনি। জনাব সুজন আগামী রমজান মাসের চাহিদাকে মাথায় রেখে টিসিবি’র মাধ্যমে বিকল্প আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বানিজ্যমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি