কুশল বীরত্বে শ্রীলঙ্কার অবিশ্বাস্য জয়

30

ম্যাচ শেষে উল্লসিত ফার্নান্দো ও কুশল, তাদের অপ্রতিরোধ্য শেষ জুটিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কাডারবান টেস্টে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকা যখন নবম উইকেট তুলে নিলো, তখনও জয় থেকে ৭৮ রান দূরে তারা। কিন্তু রোমাঞ্চকর আর অবিশ্বাস্য এক ইনিংস উপহার দিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয় পেলো শ্রীলঙ্কা। ১ উইকেটের জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল তারা। এতে ৭ ম্যাচের জয়খরা কাটালো লঙ্কানরা।
কুশলের এই দুর্দান্ত ইনিংস ফিরিয়ে এনেছে ব্রায়ান লারার অসাধারণ পারফরম্যান্সকে। ১৯৯৯ সালে ব্রিজটাউনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অপ্রতিরোধ্য ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং গ্রেট। দুই ইনিংসের মধ্যেই রয়েছে বেশ কয়েকটি মিল। ধুঁকতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় এনে দিতে ১৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন লারা। তিনি একপ্রান্ত আগলে রাখলেও ৩০৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উইন্ডিজ ৮ উইকেট হারায় ২৪৮ রানে। স্যার কার্টলি অ্যামব্রোসকে নিয়ে নবম উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন লারা, তারপর শেষ উইকেটে অপরাজিত ৯ রানের জুটি আসে লারা ও কোর্টনি ওয়ালশের ব্যাটে।
লারার মতো এদিনও ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন কুশল। রানও করেছেন ১৫৩। তবে শেষ জুটিতে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে সাবেক উইন্ডিজ তারকার চেয়েও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। একে তো দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন কন্ডিশন, লক্ষ্য থেকেও অনেক দূরে ছিল তার দল। আর অন্য প্রান্তে ছিলেন অনভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান বিশ্ব ফার্নান্দো। কেবল চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা এই তরুণের কাছ থেকে যথেষ্ট সহায়তা পেলেন কুশল। যার ফলশ্রুতিতে এলো অধরা জয়। ৩০৪ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ দিন শ্রীলঙ্কা খেলতে নেমেছিল ৩ উইকেটে ৮৩ রানে। ২০০ বলে ১২ চার ও ৫ ছয়ে ১৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন কুশল। ৯ উইকেটে শ্রীলঙ্কা করে ৩০৪ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মহারাজ। দুটি করে পেয়েছেন ডুয়ান অলিভিয়ের ও স্টেইন। ম্যাচসেরা হয়েছেন কুশল।