এনামুল-সোহানদরে ১২৩ রানে গুটয়িে দয়িে সাকবিদরে র্বাতা

41

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সফরে মূল টেস্ট শুরু হওয়ার আগে দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে স্পিন শক্তি দেখাল আফগানরা। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বিসিবি একাদশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি ড্র হয়েছে। দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমদিন ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। গতকাল (সোমবার) শেষদিন বোলিংয়েও দাপট দেখান রশিদ খান, জহির খানরা। আফগানদের বোলিংয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানরা।
ব্যাটিং প্রস্তুতিটা রোববারই সেরে নিয়েছিল সফরকারীরা। তাই সোমবার বোলিংটা ঝালিয়ে নেয়ার জন্য, শুরুর সেশনেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন আফগান অধিনায়ক। নিজের পরিকল্পনায় সফলও হয়েছেন রশিদ, তার দলের বোলাররা পুরো ফায়দা লুটেছে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের।
সারাবছর জুড়ে ঘরোয়াতে ভুরিভুরি স্পিনারদের মোকাবেলা করা বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানরা কুপোকাত হয়েছে দুই আফগান স্পিনার রশিদ-জহিরের স্পিনেই। আফগানদের করা ২৮৯ রানের জবাবে মাত্র ১২৩ রানে অলআউট হয়ে গেছে বিসিবি একাদশ। দলের কোনো ব্যাটসম্যানই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি।
দলের দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় (১৯) ও সাব্বির হোসেন (৪) সাজঘরে ফিরেছেন ২৭ রানের মধ্যেই। আফগান দুই ওপেনার ইহসানউল্লাহ এবং ইব্রাহিম জাদরান যতোটা ধৈর্য্য এবং টেম্পারমেন্টের পরিচয় দিয়েছেন, এনামুল-সাব্বিররা পারেননি তার ধারেকাছেও যেতে। মাত্র ১৯ রানের ইনিংসেও ১টি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন এনামুল।
আশা জাগানো নাঈম ইসলাম (১৩) কিংবা ঘরোয়াতে ভালো করা ফজলে মাহমুদও (৮) পারেননি কিছু করতে। বল হাতে অগ্নিপরীক্ষায় নামা জোবায়ের হোসেন লিখন যেমন পারেননি নিজের দাবী জোরালো করতে, তেমনি নাঈম ইসলামও আউট হয়ে গেছেন মাত্র ১৩ রান করে।
বল হাতে বিসিবি একাদশের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন আলআমিন জুনিয়র। তিনি আশা জাগিয়েছিলেন ব্যাটিংয়েও। কিন্তু টেস্ট মেজাজের বদলে চালিয়ে খেলে ৫ চারের মেরে ২৯ রান করে দলীয় ৮২ রানের মাথায় পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে গেছেন সাজঘরে। ৮২ রানে প্রথম পাঁচ উইকেট নেয়ার পর, শেষের পাঁচ উইকেট নিতে মাত্র ৪১ রান খরচ করেছে আফগানরা। বিসিবি একাদশের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ১৫ এবং ফারদিন অনি ১৪ রান করে দলের সংগ্রহ কোনোমতে ১০০ পার করান। দুইদিনের প্রায় সাড়ে তিন সেশনে ৯৯ ওভার বোলিং করে, বিসিবি একাদশ নিজেরা অলআউট হয়েছে মাত্র ৪৪.৩ ওভারে। আফগানদের পক্ষে বল হাতে ১১.৩ ওভারের স্পেলে ৩ মেইডেনের সাহায্যে মাত্র ২৪ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি চায়নাম্যান জহির খান। অধিনায়ক রশিদের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৩টি উইকেট।