নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মিয়ানমার জান্তা

7

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের সংক্ষিপ্ত গণতান্ত্রিক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটানো সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছরের মাথায় দেশটিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জান্তা। বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক শাসনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ চলমান থাকা অবস্থায় এই নির্বাচন আয়োজন রক্তপাত আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এসব কথা উঠে এসেছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় জান্তার পরিকল্পিত নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অবাধ হবে না। এক বিশ্লেষক এটিকে জান্তার ক্ষমতায় থাকার বিষয়টিকে ন্যায্যতা দেওয়ার নাটক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল। কিন্তু ২০২১ সালের ১ ফেব্রæয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে সু চিকে বন্দি করে। রাজনৈতিক বিরোধিতা কমে আসা এবং ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া ও চীনের কৌশলী সমর্থন পাওয়ার পর এই বছরের শেষ দিকে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে মিয়ানমার জান্তা। দেশটির সংবিধান অনুসারে, আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
তবে পাহাড়ি জঙ্গল এবং সীমান্ত এলাকা থেকে শুরু সমতলে সামরিক শাসনের বিরোধিতা চলমান রয়েছে। এসব এলাকা থেকেই দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্য সংগ্রহ করা হয়। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, এসব বিস্তৃত ভূমির মানুষেরা ভোটদানে বিরত থাকতে পারেন। কারণ ভোট দিলে জান্তাবিরোধীদের ক্রোধের মুখে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। ইয়াঙ্গুনে কাজ করা সাবেক এক সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, জান্তা আয়োজিত যেকোনও নির্বাচন হবে এক চাকার গাড়ি।
এতে পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হওয়ার সুযোগ নেই। থাই সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স-এর এক সদস্য লিন লিন বলেছেন, মিয়ানমারের রাজনীতি থেকে সামরিক বাহিনীকে উপড়ে ফেলার লক্ষ্য থেকে নির্বাচন তাদের সরিয়ে দিতে পারবে না। আমরা নিজেদের নির্বাচিত সরকার পাওয়ার আগ পর্যন্ত অস্ত্র নিয়ে লড়াই করব।