বৈশ্বিক ব্যবস্থা পুনর্নির্মাণের আহ্বান মোদির

16

ভারত সরকারের উদ্যোগে ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত ভয়েস অভ গ্লোবাল সাউথ শীর্ষ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের দেশগুলোর নেতাদের নিজস্ব উন্নয়ন ও মানবজাতির তিন-চতুর্থাংশের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সাধারণ এজেন্ডা তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা তাদের নিজ দেশের মত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

জি২০ প্রেসিডেন্সি নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ মূলসুর নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য জি২০-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।”

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি তার বক্তব্যে বিশ্বব্যাপী দক্ষিণ দেশগুলোকে ভবিষ্যতের সবচেয়ে বড় অংশীদারিত্বের অধিকারী একটি ঐক্যবদ্ধ সত্তা হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “ভারত সবসময় সর্বজনীন ভবিষ্যৎ নির্ধারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।”

উদীয়মান বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে পুনর্নির্মাণ করতে, তিনি বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারীদেরকেও সমস্বরে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান।

বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও আর্থিক ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস করতে, বৈষম্য দূর করতে, সুযোগ সম্প্রসারিত করতে, প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন জানাতে এবং অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ছড়িয়ে দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের দেশগুলোকে রূপান্তরিত করার জন্য সহজ, পরিমাপযোগ্য ও টেকসই সমাধানের আহ্বান জানান।

তিনি একটি ফোর-আর কৌশল প্রস্তাব করেন – রেসপন্ড (সাড়া দেওয়া), রিকগনাইজ (স্বীকৃতি প্রদান), রেসপেক্ট (সম্মান জানানো) ও রিফর্ম (সংস্কার)। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ আন্তর্জাতিক এজেন্ডা তৈরি করে বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের দেশগুলোর অগ্রাধিকারের প্রতি দেওয়া, ‘সাধারণ কিন্তু ভিন্নধর্মী দায়িত্ব’ নীতিটি সমস্ত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তার স্বীকৃতি দেওয়া, সব জাতির সার্বভৌমত্ব, আইনের শাসন এবং মতভেদ ও বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি সম্মান জানানো এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্য সংস্কার করা।