অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেসরকারি নার্সিং ইন্সটিটিউট অনুমোদন দিচ্ছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা

63

ঘুষ রাণিজ্য এবং অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেসরকারি নার্সিং ইন্সটিটিউট অনুমোদন দেওয়ার পাঁয়তারায় নেমেছেন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তার। ঘুষের বিনিময়ে আবারো নতুন নার্সিং কলেজ এবং নবায়ন বাণিজ্যে নেমেছেন তিনি এবং তার সহযোগীরা।

স্বাস্থ শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল আগামী তিন কর্মদিবসের পর অবসরে যাবেন। এই সুযোগে পূর্ব নির্ধারিত কোনো নির্বাহী কমিটির মিটিং-এর নোটিশ প্রকাশ না করে অনেক গোপনীয়ভাবে আজকের সভা ডেকে সচিব মহোদয়কে ব্যবহার করে নতুন প্রতিষ্ঠান অনুমোদন এবং পুরাতন প্রতিষ্ঠান অনৈতিকভাবে নবায়নের পাঁয়তারা করছেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

তিনি নতুন প্রতিষ্ঠান অনুমোদন এবং নবায়নের অঙ্গীকার করে বিভিন্ন নার্সিং ইন্সটিটিউটের উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

নার্সিং কাউন্সিলের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তার এই অবৈধ লেনদেনের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।

সচিব অবসরে যাবেন আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। ১৪ তারিখ থেকে নতুন সচিবের যোগদানের কথা আছে।

রাশিদা আক্তার গং এই সুযোগটি কাজে লাগাতে তৎপর। রাশিদা আক্তার চক্র দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে আজকের মিটিংয়ে নতুন নার্সিং প্রতিষ্ঠান পাশা নার্সিং কলেজ, পটুয়াখালী, নুরবানু ইসমাঈল নার্সিং ও মিডোয়াইফারি ইন্সটিটিউট, মিরপুরসহ আরো কয়েকটি ইন্সটিটিউট নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অর্থের বিনিময়ে অনুমোদন দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ অনুমোদন দেওয়ার জন্য পরিদর্শন করেছেন নার্সিং কাউন্সিলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তার এবং স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব সাইফুল ইসলাম।

জানা যায়, পুরাতন যেসব প্রতিষ্ঠান নবায়নের জন্য রাশিদা আক্তার গংদের ঘুষ দিতে অসম্মতি জানিয়েছেন সেসব প্রতিষ্ঠানের নবায়ন আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন রাশিদা আক্তার।

আরো জানা যায়, পূর্বের নির্বাহী কমিটির সভায় নতুন প্রতিষ্ঠান অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে রাশিদা আক্তার রেজিস্ট্রার পদে স্থায়ী হওয়ার জন্য ঘুষের অর্থ সংগ্রহের লক্ষে নতুন প্রতিষ্ঠান অনুমোদন এবং পুরাতন বাণিজ্যে মেতেছেন বলে।