রাউজানে হামলার শিকার রাঙামাটির শ্রমিক নেতা

17

 

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান মহসিন ও রাউজানের শ্রমিক নেতা নামধারী উশৃঙ্খল যুবকের বিরুদ্ধে হামলা ও খালী স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাঙামাটি ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মো. রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, আমাকে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান মিমাংসার নামে রাউজানে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তারা আমাকে মারধর করে জোর করে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত রোজার মাসে রাঙামাটি ও রাউজানের ২ জন শ্রমিকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে এটা বড় আকার ধারণ করলে আমি তাদের দুই গ্রæপকে সরিয়ে দেই। পরে ঐ শ্রমিক রাঙামাটি থেকে রাউজানে গিয়ে সেখানকার নেতাদেরকে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলে। পরবর্তীতে এই বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার বৈঠকের কথা থাকলেও তারা রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ও চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সকল পণ্যবাহী ট্রাক আটক করে।
এসময় আমাদের বেশ কয়েকজন শ্রমিককে তারা মারধর করে। পরে বিষয়টি রাঙামাটির বিভিন্ন প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদেরকে অবহিত করা হয়। প্রশাসনের লোকজন ও রাউজানের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি মিমাংসার জন্য রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান মহসিন রোমন যোগাযোগ করেন আমার সাথে। কোনো প্রকার সমস্যা হবে না মর্মে আমাকে আশ্বস্থ করেন। আশ্বাস পেয়ে রাঙামাটির ৪-৫ জন সিনিয়র মালিক ও শ্রমিক নেতা নিয়ে আমরা রাউজানে যাই। সেখানে গেলে কোনো প্রকার কথাবার্তা ছাড়াই সেখানকার শ্রমিকনেতা নামধারী কয়েকজন যুবক আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে এবং মারধর করে। এ সময় আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান নিরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করছিলেন। তারা আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক খালি স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। আমি রাঙামাটি উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, মিমাংসার জন্য স্বাক্ষর নিচ্ছে দিয়ে দাও। তা না হলে তোমাকে এখান থেকে যেতে দেবে না।
রুহুল আমিন প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।এই বিষয়ে রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে ওখানে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটু উচ্চবাচ্য হয়েছে মাত্র। মিমাংসার জন্য স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রুহুল আমিন যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি রুহুল আমিনের কাছে যাইনি। রুহুল আমিন আমাকে রাউজানে নিয়ে গেছেন। এই বিষয়ে জানতে রাউজানে শ্রমিক নেতাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।