মজুরি কমিশনসহ ১১ দফা দাবি পূরণের আশ্বাসে আমিন জুট মিলের শ্রমিকরা অনশন কর্মসূচি তিন দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন। গতকাল শনিবার পূর্বদেশকে আমিন জুট মিল সিবিএ সভাপতি আরিফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন শিল্প ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে শ্রমিক নেতারা আগামী ১৫ ডিসেম্বর বৈঠকে বসবেন। মিটিং যদি ফলপ্রসূ না হয় তাহলে আমরা আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় আমরণ অনশনে বসবো।
তারা আরো বলেন, ‘গত চার দিনের অনশনে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আমরা তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বর্তমানে তারা দুইজনই সুস্থ আছেন।’
জানা যায়, দৈনিক এ পাটকল থেকে উৎপাদন হয় ১৫ টনের মত পাটের বস্তা। আগে ৩২ টনের মত দৈনিক উৎপাদিত হতো বলে জানান আমিন জুট মিল সিবিএ সভাপতি আরিফুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারা দেশের মতো আমিন জুট মিলেও ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি করেছেন। শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ বন্ধ রেখে মিল গেটে জড়ো হয়েছেন। সেখানে সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের নেতারা বক্তব্য প্রদান করেন।
আরিফুর রহমান বলেন, সরকার যদি হুট করে মিল বন্ধ করার ঘোষণা দেন, তবে শ্রমিকরা ভোগান্তিতে পড়বে। অথচ ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুযায়ী কর্মকর্তারা বেতন ভোগ করছেন। কিন্তু শ্রমিকরা কি দোষ করলো, তাদের কথা শুনছেন না কেন?
প্রসঙ্গত, মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারা দেশের মতো আমিন জুট মিলেও শ্রমিকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মিল গেটে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। এসময় সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের নেতারা শ্রমিকদের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) প্রতি আহ্বান জানান। গত ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে মিল গেটে পূর্বঘোষিত আমরণ কর্মসূচি শুরু করেন শ্রমিকরা।