‘মামলা করেই টাকা উদ্ধার সম্ভব’

36

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ও রিজার্ভ চুরির ঘটনায় গঠিত সরকারের তদন্ত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, ফিলিপাইনের রিজাল কর্মাশিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা করেই টাকা উদ্ধার সম্ভব। কারণ সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আরসিবিসিকে দায়ী করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নিউইয়র্ক ফেডে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরসিবিসিকে ২০ লাখ ডলার জরিমানা করে ফিলিপাইনের সিনেট। খবর বাংলানিউজের
রিজার্ভ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি আরসিবিসি’র সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেহগুইতোকে ৫৬ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। খবর বাংলানিউজের
ফরাসউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফিলিপাইনে এতোকিছু ঘটে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রিজার্ভ চুরির পর আমার নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি আরবিসিকে দায়ী করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ও সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় শেষ পর্যন্ত আরসিবিসির কর্মকর্তার সাজাও হয়েছে দেশটির আদালতে। আমার কাছে মনে হয়েছে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করেই টাকা উদ্ধার করা সম্ভব। মামলা করলে আমাদের দেশের কারও কোন সাজা হবে না। শুধু আরসিবিসির সাজা হবে। অর্থপাচারের অভিযোগে এর আগেও আরসিবিসিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল জাতিসংঘ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ও বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান বলেন, রিজার্ভের চুরি যাওয়া অনাদায়ী ৬ কোটি ৬৪ লাখের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় যতটুকু আদায় করা সম্ভব তা করা হবে। বাকি অর্থ ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংক থেকে আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রির্জাভ চুরি হয়েছে ১০১ মিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। এখনো হদিস নেই প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলারের। ৬৭ মিলিয়ন ম্যানিলার ব্যাংকে ফ্রিজ করা আছে।
আরসিবিসি’র বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আরসিবিসি’র বিরুদ্ধে সরকার মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে এ মামলার বাদী হবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক (ফেড)।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নিউইয়র্ক ফেডে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে।