আলোক দূষণ : শান্তি ও ভারসাম্য বিনষ্ট করছে

12

ফজলুর রহমান

১. ‘আলো আমার আলো ওগো আলো ভূবন ভরা/আলো নয়ন ধোওয়া আমার আলো হৃদয় হরা/নাচে আলো নাচেও ভাই, আমার প্রাণের কাছে/বাজে আলো বাজে ও ভাই, হৃদয়বীণার মাঝে।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই আলো অন্তরের। তবে আজ আরো এক আলো নিয়ে কথা বলবো। কৃত্রিম এক আলো। এই আলোও ভূবন ভরা। এই আলোও নাচে, দেহমনেও বাজে।
২. জার্মানির আইফেল জাতীয় পার্কের রাতের আকাশ একেবারে স্বচ্ছ। একদম স্পষ্ট।উক্ত দেশের নাগরিক হারাল্ড বার্ডেনহাগেন সেই পার্কে একটি অবজারভেটরি বা মানমন্দির গড়ে তুলেছেন।ডয়চ ভেলে’র প্রতিবেদন মতে, তিনি লক্ষ্য করছেন যে, রাতের আকাশ ক্রমশঃ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের একেবারেই কোনো আলোর দূষণ না থাকলে, অর্থাৎ একেবারে স্বাভাবিক রাতের আকাশ থাকলে আমরা সম্ভবত তিন থেকে সাড়ে চার হাজার নক্ষত্র দেখতে পেতাম। ইউরোপে কোথাও সেটা আর সম্ভব নয়। অথচ এখানে রাতে বড়জোর ১,৮০০ থেকে আড়াই হাজার নক্ষত্র দেখা যায়।’’ এরমূলে কৃত্রিম আলোর জেয়ার।
৩. দূষণের অভিধানে ‘আলোক দূষণ’ বা ‘লাইট পলিউশন’-এর কথা আছে। প্রাকৃতিক আলো ব্যতীত অতিরিক্ত যেকোন কৃত্রিম আলোকসজ্জাই আলো দূষণ। খুব সামান্য আলো হয়ত পরিবেশের তেমন ক্ষতি করে না, কিন্তু রাস্তাঘাটের উজ্জ্বল ল্যাম্পপোষ্ট, কোন বহুতল ভবনের বা বিশেষ স্থানের আলোকসজ্জা ইত্যাদি পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। আর একেই আমরা আলো দূষণ বলি।বিশেষজ্ঞেরা আলোক দূষণকে বেশ কয়েকটি ভাগে করেছেন- ‘লাইট ট্রেসপাস’, ‘ওভার ইলুমিনেশন’, ‘লাইট ক্লাটার’ ইত্যাদি।পাশের কোনও উজ্জ্বল আলো যখন অন্যের অস্বস্তির কারণ হয় তখন তা ‘লাইট ট্রেসপাস’ জনিত দূষণ বলে। যেমন, রাস্তায় বা বাইরের কোনও আলো যখন অন্যের বাড়ির কাচের জানলা ভেদ করে ঘরে ঢুকে যায় তখন তাকে ‘লাইট ট্রেসপাস’ বলে। ‘ওভার ইলুমিনেশন’ দূষণে অতি উজ্জ্বল আলোয় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আলোক দূষণ হয়। ‘লাইট ক্লাটার’ দূষণের ক্ষেত্রে বিপুল বৈচিত্র্যপূর্ণ রঙিন আলো মানুষকে বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট করে।
৪. ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস অফ আর্টিফিশিয়াল নাইট’-এর স্কাই ব্রাইটনেসের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের জনসংখ্যার ৮৩ শতাংশ এরকম আলোক দূষিত আকাশের নিচে বাস করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ৯৯ শতাংশ মানুষ প্রাকৃতিক রাত উপভোগ করতে পারে না। শহরে প্রতি ৪ জনের মধ্যে ৩ জন কখনও আদিম অন্ধকার আকাশের বিস্ময় অনুভব করেননি। বিশ্বজুড়ে কয়েক মিলিয়ন শিশু-কিশোর তারা যেই ছায়াপথে বসবাস করে তা দেখার সৌভাগ্য কখনোই লাভ করে না।ইতালির এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ রাতে প্রকৃতির আলো বুঝতে পারেন না।
৫. বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রতি বছরে কৃত্রিম আলোর পরিধি বেড়েছে দুই শতাংশ। কোনো দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের সাথে সেদেশের কৃত্রিম আলো বাড়ার যোগাযোগ রয়েছে। উৎপাদন ও কৃত্রিম আলো বৃদ্ধি উদীয়মান অর্থনীতির অন্যতম লক্ষণ। কৃত্রিম আলো বদলে দিয়েছে প্রাণীজগতের জীবনধারা। ঘুমানোর সময় থেকে শুরু করে অন্যান্য জৈবিক প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয় কৃত্রিম আলোর কারণে। অনেক গাছের ক্ষেত্রে এর বৃদ্ধিও পরিবর্তিত হয় কৃত্রিম আলোর প্রভাবে।
৬. রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন,‘আলোর ¯্রােতে পাল তুলেছে হাজার প্রজাপতি,আলোর ঢেউয়ে উঠল মেতে মল্লিকা মালতী।’কিন্তু আলোর টানে পাল তুলে দলে দলে মরে যাওয়া দেখে আলোক দূষণ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।মার্কিন পাখি বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন গবেষণা চালিয়ে দেখতে পান যে, আলোর প্রভাবে উত্তর আমেরিকায় প্রায় ২০০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি তাদের গতিপথ পরিবর্তন এনেছে। বিশ্বব্যাপী ৫৬ প্রজাতির পাখি আলো দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাদের ব্যবহার ও বৈচিত্র্যের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
রাতের বেলায় সিডনির অপেরা হাউসের সের কৃত্রিম উজ্জ্বল আলোতে প্রলুব্ধ হয়ে অপেরা হাউসের উপরে কিছু পাখি এদিক সেদিক উড়তে দেখা যায়।এরা পথভ্রষ্ট পাখি। উজ্জ্বল আলোতে দিকভ্রান্ত হয়ে এরা নিজেদের বাসার রাস্তা হারিয়ে ফেলে। ফলে এদিক সেদিক বিভ্রান্ত হয়ে উড়তে থাকে নির্দিষ্ট দিক খুঁজে পাবার জন্য। একটানা দিকভ্রান্ত হয়ে উড়ার দরুন এরা প্রচÐ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ক্লান্ত দেহ তাই আছড়ে পরে আশে পাশের কোন বিল্ডিং এর গায়ে কিংবা অপেরা হাউসের শক্ত বহিরাবরণে। ফলাফল অধিকাংশ সময়ই এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত তাদের জীবন দিয়ে করতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি বছর সিডনি র এই অপেরা হাউসের উজ্জ্বল আলোতে বিভ্রান্ত হয়ে হাজার হাজার পাখি মৃত্যুবরণ করে। এভাবে এমন ঘটনা আরো বহু জায়গায় ঘটে।
আলোক দূষণের আরো কিছু নমুনা উল্লেখ করা যাক-
১. আলোর দূষণ গোটা বিশ্বে একটা সমস্যা হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর বুকে এমন জায়গার সংখ্যা কমে চলেছে, যেখানে সত্যি অন্ধকার আকাশ দেখা যায়। কৃত্রিম আলো রাতের আকাশ উজ্জ্বল করে তুলছে।এর ফলে শুধু জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও শখের পর্যবেক্ষকদের সমস্যা হচ্ছে না। ২. কৃত্রিম আলোর কারণে আমাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। দেহঘড়ি ঠিক মতো চলছে না। মানুষ-সহ প্রাণীদের দেহে রয়েছে ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’। যার সাহায্যে প্রাণীরা দিন ও রাতের ফারাক বুঝতে পারে। আলোর দূষণের ফলে তা নষ্ট হতে বসেছে। বিঘিœত হচ্ছে নিদ্রা। এই অনিদ্রার প্রভাব পড়ছে আহার ও প্রজননের উপরে। ৩. বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সূর্যের আলো নিভে গেলে অন্ধকারে মানব শরীরে রক্তে ‘মেলাটোনিন’ নামক হরমোন বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও প্রদাহ কমিয়ে দেয়। নিদ্রার সময় নির্গত হয় ‘বিটা এনডরফিন’ যা স্বাভাবিক ‘পেন কিলার’ হিসেবে কাজ করে। ঠিকঠাক ঘুম শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ নির্ধারণ করে। ৪. আলোর দূষণের ফলে মানুষের অনিদ্রাজনিত মানসিক চাপ, ডায়াবিটিস ও হার্ট ডিজিজের মতো রোগ বাড়ছে। ‘দ্য নিউইয়র্ক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স’-এর আলোচনায় জানা যাচ্ছে আলোক দূষণ পরোক্ষ ভাবে ক্যানসারের মতো রোগেরও জন্ম দেয়।
৫. রাতে সক্রিয় পোকামাকড় চিরকাল নক্ষত্রের আলোর উপর ভিত্তি করে দিক নির্ণয় করে এসেছে। কৃত্রিম আলো এই প্রাণীগুলির জন্য মৃত্যুফাঁদ হয়ে উঠেছে।পোকামাকড়ের মৃত্যুর জন্য আলোর দূষণকে দায়ী করা হয়। ৬. এই দূষণের ফলে পাখিও দিক নির্ণয় করতে পারছে না। উদভ্রান্ত হয়ে পাখি এমনকি আলোকিত ভবনে ধাক্কা মারছে। ৭. জার্নাল নেচারের সা¤প্রতিক গবেষণা বলছে, কৃত্রিম আলো পরাগযোগ কমিয়ে আনছে, যা রাতজাগা পোকামাকড়ের কার্যক্রম কমিয়ে আনছে। ৮. জার্মান রিসার্চ সেন্টারের মতে, কৃত্রিম আলোর ফলে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নাটকীয় পরিবর্তন নিয়ে আসে যার প্রভাব পড়েছে প্রকৃতিতে। ৯. বর্তমানে স্তনক্যান্সার নারীদের একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাধি। আর এই স্তনক্যান্সারের একটি অন্যতম কারণ হল মেলাটোনিনের নিঃসরণ কমে যাওয়া। তাই কৃত্রিম আলোর আধিক্যতার কারণে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায় বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ কারণে নাইট শিফট এ যে সকল নারীরা কাজ করেন তাদের স্তনক্যান্সার এর ঝুঁকি বেশি থাকে। ১০. উদ্ভিদের খাদ্য তৈরি থেকে বিভিন্ন শারীরবৃত্ত কাজের উপর সরাসরি আলো এবং অন্ধকারের উপস্থিতির প্রভাব থাকে। আলো দূষণের কারণে উদ্ভিদ তার প্রয়োজনীয় রস বাষ্প আকারে হারাচ্ছে। ফলে পাতা হয়ে পড়ছে বিবর্ণ। কৃত্রিম আলোর পরিমাণ ও উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার ফলে অন্ধকার সময়ের দৈর্ঘ্য আর দিনের আলোর দৈর্ঘ্যের পরিমাণের তারতম্য হচ্ছে। ফলে উদ্ভিদের ফুল ও ফল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে।কিছু প্রাণী গভীর রাতে কিংবা ভোরের দিকে শিকারে বের হয়। কৃত্রিম আলোর ফলে এদের শিকার ব্যাহত হয়। তা ছাড়াও কৃত্রিম আলো চোখের রেটিনার ক্ষতি, স্পার্ম উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া এমনকি জেনেটিক মিউটেশনও ঘটাতে পারে।
৫. আলোর দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৮৮ সালে গঠিত হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল ডার্ক স্কাই অ্যাসোসিয়েশন’। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছেন তারা। আমেরিকায় ‘অ্যান্টি লাইট পলিউশন’ আইনও আছে। এই আইনে অবাঞ্ছিত আলো ব্যবহারের উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনে শাস্তির ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়াও আমেরিকার ‘দ্য ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস’-এর ‘ন্যাচরাল সাউন্ড অ্যান্ড নাইট স্কাইজ ডিভিশন’-এর উদ্যোগে বিভিন্ন ন্যাশনাল পার্ক ও অভয়ারণ্যের আকাশ পরিদর্শন করা হচ্ছে।চিলির সংরক্ষিত এলাকা ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরিতে বাসার বাইরে কৃত্রিম আলো জ্বালানো নিষিদ্ধ। যদিও সংরক্ষিত এলাকা লোকালয় থেকে বেশ দূরে, তবুও আশেপাশের লোকালয়ে এ আলোর স্বল্পতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এলইডির বদলে জ্বালানো হয় উষ্ণ হলুদ আলো।২০১৪ সালে আইফেল জাতীয় পার্ক এলাকাকে ‘স্টার স্যাংকচুয়ারি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।জার্মানিতে মোট চারটি এমন এলাকা রয়েছে। ‘স্টার স্যাংকচুয়ারি এমন এক এলাকা, যেখানে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। যেমন মিল্কি ওয়ে দৃশ্যমান করে তুলতে হয়।
এছাড়া আরো কিছু উপায়ে প্রয়োজনহীন কৃত্রিম আলো কমিয়ে আনা যায়:
১. সারারাত রাস্তায় আলো জ্বালিয়ে রাখাটা যুক্তিসংগত নয়। বরং নড়াচড়া টের পেলেই আলো জ্বলবে, অন্য সময় আলোহীন বা কম আলো জ্বলে থাকবে, এমন প্রযুক্তির মাধ্যমে রাতভর উজ্জ্বল আলোর ব্যবহার বন্ধ করে স্মার্ট আলোর ব্যবস্থা করা সম্ভব।
২. শিল্পক্ষেত্র কংবা বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত এই এলাকার ঔজ্জ্বল্য অবশ্যই প্রত্যাশিত। কিন্তু তা সত্তে¡ও অনেক আলো এড়ানো সম্ভব।শিল্প প্লান্টের একটা বড় অংশ উঁচু টাওয়ারের উপর বসানো স্পটলাইট দিয়ে আলোকিত করা হয়। সেগুলির উপরে কোনো ঢাকনা নেই।অর্থাৎ প্রায় সব দিকেই আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে। একটা বড় অংশ উপরের দিকে অথবা ধারে চলে যায়, যার একেবারেই কোনো প্রয়োজন নেই। ধাতু অথবা অন্য কোনো উপযুক্ত ঢাকনা দিয়ে আলো ঠিকমতো ঢাকা দিতে পারলে শুধু প্রয়োজনীয় অংশ আলোকিত করা সম্ভব।
৩. অন্ধকার অঞ্চলে আলোর ভূমিকা এড়ানো উচিৎ। আলো সর্বনি¤œ ব্যবহারযোগ্য তীব্রতায় ব্যবহার করা দরকার। আলো কেবল যেখানে প্রয়োজন সেখানেই শুধু ব্যবহার করা উচিৎ। প্রয়োজনের সময়ই কেবল আলো ব্যবহার করা উচিৎ।
৪. আলো উষ্ণ হওয়া উচিৎ। যার অর্থ তীব্র সাদা বর্ণালীর পরিবর্তে কমলা রঙের আলো বেশি ব্যবহার করা উচিৎ।
৫. খুব উজ্জ্বল আলো বা সাজসজ্জার কাজে ব্যবহৃত বড় বাতি যদি কমিয়ে আনা যায় তবে কম আলোতে ভালো দৃষ্টি তৈরি করা সম্ভব হবে।
কৃত্রিম আলো অজান্তে অনেক দূষণ বয়ে আনছে। আলো দূষণ হলো শিল্পভিত্তিক সভ্যতার একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। এই দূষিত আলোর ঝলকানি কমানো গেলে শক্তির অপচয়ও কমে আসবে। তবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তথ্য-উপাত্ত বলছে পৃথিবী সম্পূর্ণ উল্টোপথে হাঁটছে। এখন কৃত্রিম আলো অন্ধকারকে হটিয়ে দিয়ে শহরগুলিকে রাতে আলোকিত করে তোলে, প্রাকৃতিক দিন-রাতের ধরণকে ব্যাহত করে এবং আমাদের পরিবেশের সূ² ভারসাম্যকে নষ্ট করে ফেলে। আসুন, আলোক দূষণ রোধে মনোনিবেশ করি।
লেখক : উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা)
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়