রঙিন পৃথিবীর আলো দেখবে ১৮ শিশু

9

পূর্বদেশ ডেস্ক

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে অরবিসের বাস্তবায়নে অপরিণত বয়সের দুই শিশুসহ তিন দফায় ১৮ শিশুর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর রঙিন পৃথিবীর আলোয় আলোকিত হবে এসব শিশুর জীবন।
চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে এই ১৮ জন রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় শিশুর সফল অস্ত্রোপচারের পর শিশুরা স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা। গতকার শুক্রবার সর্বশেষ ৬ জন শিশুর চোখের বাঁধন খুললে তারা পৃথিবীর আলো দেখতে পায়। পাশাপাশি তাদের ঔষধসহ যাবতীয় সেবা প্রদান করা হয়। খবর বাংলানিউজের
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর ৬ জন, ২০ অক্টোবর ৬ জন, ২৭ অক্টোবর ৬ জন শিশুর অস্ত্রোপচার করা হয়। এদের মধ্যে স্থানীয় ৪ জন ও রোহিঙ্গা ১৪ জন শিশু। শিশুদের অস্ত্রোপচার করেন ডা. নাসিমুল গনি চৌধুরী। তত্ত¡াবধানে ছিলেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের ম্যানেজার (প্রোগ্রাম অ্যান্ড অপারেশন) শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, এমআইএস অফিসার এমএইচএম অহিদুর রহমান, ফিল্ড ফেসিলিটেটর জামিল উদ্দিন বাপ্পী।
আই কেয়ার সার্ভিসেস ফর দ্যা চিলড্রেন অব উখিয়া অ্যান্ড টেকনাফ ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক, আন্দ্রেরী হেলফী এর সহায়তায় অরবিস ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে অস্ত্রোপচারে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়েছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল।
শিশুদের অভিভাবকরা অরবিসসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের সন্তানের চোখের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করে তাদের আগামির চলার পথ সুন্দর করেছেন। এতদিন সন্তানের চোখ নিয়ে যে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তা এখন কেটে গেছে। এই চিকিৎসার ফলে আমাদের সন্তানের সঠিক ভবিষ্যত নিশ্চিত হয়েছে। এ সময় অরবিস কর্মকর্তারা বলেন, ১৯৮৫ সালে উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের মাধ্যমে অরবিস বাংলাদেশে কাজ শুরু করে। বিশ্বের ৯২টি দেশে অরবিসের কার্যক্রম বিস্তৃত রয়েছে।