12

জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবীর (দ) পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের আয়োজনে নগরীর আলমগীর খানকাহ শরিফে রাহমাতুল্লিল আলামিন কনফারেন্সের ৯ম দিন গত বুধবার বক্তারা বলেছেন, মহানবী (দ) মানবজাতির জন্য আল্লাহর রহমত স্বরূপ তাই শুধু নয়, বরং তিনি সমগ্র জগতের জন্য আল্লাহ পাকের সেরা করুণা ও অনুগ্রহ স্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন। তাঁর দুনিয়ায় শুভাগমনের মাধ্যমে পৃথিবী ধন্য ও আলোকিত হয়। অন্ধকার, বর্বরতা ও নারী জাতির ওপর নিগ্রহ অবস্থা দূরীভূত হয় মহানবীর (দ) কল্যাণে। তাই ঈদে মিলাদুন্নবী (দ) উদ্যাপনের মাধ্যমে আল্লাহর অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করা উচিত।
কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহাসচিব মুহাম্মদ শাহজাদ ইবনে দিদার। প্রধান আলোচক ছিলেন আনজুমান রিচার্স সেন্টারের মহাপরিচালক গবেষক আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান। প্রিয় নবীর (দ) জীবন চরিত এবং ঈদে মিলাদুন্নবীর (দ) তাপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে উলামায়ে কেরামের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকাদেরী, হালিশহর মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাজিল এর আরবী প্রভাষক মাওলানা আবুল হাসনাত আলকাদেরী, কক্সবাজার রামু হযরত জঙ্গী পীর ইসলামিয়া সুন্নিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার মাওলানা আবদুল আজিজ রজভী, ঢাকা গাউসুল আজম রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল মুস্তফা রহীম আল-আজহারী। সভাপতির বক্তব্যে শাহজাদ ইবনে দিদার বলেন, পৃথিবীজুড়ে আজ দুর্বলের ওপর সবলের জঘন্য নির্মমতা ও বর্বরতা চলছে। দেশে দেশে নিরীহ মানবতার ওপর চলছে জুলুম নিপীড়ন ও বহুমুখী নিগ্রহ। মানবজাতিকে অধঃপতিত অবস্থা থেকে তুলে আনতে মহানবী (দ) নির্দেশিত সাম্য ও ইনসাফের আদর্শ গ্রহণ করতে হবে। কনফারেন্সে প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক আলহাজ্ব মনোয়ার হোসেন মুন্নাসহ আনজুমান ট্রাাস্ট নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয়-জেলা, মহানগর গাউসিয়া কমিটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরিশেষে সালাত সালাম শেষে দেশ, বিশ্ববাসীর, শান্তি কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি