৯ মাসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৭শ কোটি ডলার

56

ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা উদ্যোগসহ ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে বেড়েছে রেমিট্যান্সপ্রবাহ। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকেও রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়ছে। গত ৯ মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৭০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা) যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি (২০১৮-১৯) অর্থবছরে (জুলাই-মার্চ) প্রথম ৯ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে এক হাজার ১৮৬ কোটি ৮৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে থাকা প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৬৯৯ কোটি ১২ লাখ ডলার, যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৮৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।
তথ্য বলছে, প্রবাসী আয় পাঠানোর শীর্ষে থাকা ১০ দেশের মধ্যে ৬টি হলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। এর মধ্যে গত ৯ মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। চলতি অর্থবছর দেশটি থেকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২২৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের প্রায় ১৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে অন্য দেশগুলো হচ্ছে আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, ইতালি ও বাহরাইন। অর্থবছরের ৯ মাসে রেমিট্যান্স আহরণের দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৬ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। তৃতীয় দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৩ কোটি ২৯ লাখ ডলার। চতুর্থে থাকা কুয়েত থেকে এসেছে ১০৩ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। এছাড়া মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৬ কোটি ৯১ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে পাঠিয়েছে ৮৪ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। ওমান থেকে এসেছে ৭৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার, কাতার থেকে ৭৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার, ইতালি থেকে ৫৭ কোটি ডলার এবং বাহরাইন থেকে ৩৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২২১ কোটি ডলার বা ১৭ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এসেছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। গত চার অর্থবছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছর সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল এক হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এসেছে এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার।