৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে আসন শূন্য

45

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, সংসদ অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে সেই আসন শূন্য হবে।
গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে একথা বলেন তিনি।
গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার ২৯৯টি আসনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে গাইবান্ধা-৩ আসনে এক প্রার্থী মৃত্যুর কারণে আগামী ২৭ জানুয়ারি সেখানে ভোটগ্রহণ হবে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে তিনটি স্থগিত কেন্দ্রের ভোট ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। অবশিষ্ট ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি আসন, বিকল্পধারা দু’টি আসন, ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ দু’টি আসন, জাতীয় পার্টি-জেপি একটি আসন ও তরিকত ফেডারেশন একটি আসন পেয়েছে। খবর বাংলানিউজের
বিএনপি পাঁচটি আসন, গণফোরাম দু’টি আসন ও স্বতন্ত্র দু’জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এ ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃভোটের দাবি জানিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইতোমধ্যে সে দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, পুনরায় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা শপথ নিয়ে সংসদে বসবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
এ প্রসঙ্গে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে। অধিবেশন শুরু হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে কেউ শপথ না নিলে সংশ্লিষ্ট আসনকে শূন্য ঘোষণা করবেন স্পিকার। তিনি বলেন, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথ নিতে হবে। শপথ গ্রহণের ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশন বসবে। অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে কেউ যদি শপথ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাকে অযোগ্য বলে গণ্য করবেন স্পিকার। সংবিধানে ৬৭ (১) এ কথা উল্লেখ করা আছে। কেউ যদি স্পিকারের কাছে শপথ না নেন, তবে সিইসির কাছে নিতে হবে বলেও সংবিধানে বলা আছে।
দশম সংসদের সময় ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হয়। ৮ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ৯ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করে সংসদ সদস্যরা।
ইতোমধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যের নবনির্বাচিতদের শপথ হবে। সে মোতাবেক মঙ্গলবারই গেজেট প্রকাশ করে ইসি।