৮ বছরেও চালু হয়নি লোহাগাড়ার ট্রমা সেন্টার

30

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়ায় অবস্থিত ট্রমা সেন্টারটি উদ্বোধনের ৮ বছর চললেও এখনো চালু হয়নি। ফলে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতরা দ্রæত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উদ্বোধনের পর বছরের পর বছর পার হলেও চালু না হওয়া ট্রমা সেন্টারটির দৃষ্টিনন্দন এ ভবনের রঙ চটে গিয়ে বিবর্ণ হয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলার পদুয়ায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এ ট্রমা সেন্টারটি। কিন্তু কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ট্রমা সেন্টারটি পঙ্গুদের চিকিৎসার পরিবর্তে বছরের পর বছর ধরে নিজেই পঙ্গু হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহতরা। জানা যায়, উপজেলার পদুয়ায় ২০০৭ সালের জুন মাসে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে এ ট্রমা সেন্টারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে এ ট্রমা সেন্টারটিও উদ্বোধন করেন। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন তলা বিশিষ্ট এ ভবনে আছে ২০টি শয্যা। তার মধ্যে বিশেষ কেবিন (ভিআইপি) দুটি, সাধারণ শয্যা ১৮টি। হাসপাতালের জন্য আসবাবপত্র সরবারহ করা হলেও কোন প্রকার যন্ত্রপাতি সরবারহ করা হয়নি। নিয়োগ দেওয়া হয়নি কোন চিকিৎসকও। আছে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগও। দীর্ঘ ৮ বছরেও ট্রমা সেন্টারটি চালু না হওয়ায় মালামালগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ট্রমা সেন্টার উদ্বোধন হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বেশ কয়েকবার চিঠিও দিয়েছি জনবল নিয়োগের জন্য। তিনি আরো জানান, বর্তমানে ট্রমা সেন্টারটি করোনাভাইরাসের জন্য আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।