৮ আগস্ট থেকে আঠারোর্ধ্বরাও ২৫ বছর হলেই করোনার টিকা

14


বাংলাদেশে যাদের বয়স ২৫ বছর, তারা এখনই করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন। ৮ আগস্ট থেকে ১৮ বছরের বেশি নাগরিকরাও নিবন্ধন করতে পারবেন। দেশে শুরুতে শুধু ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হচ্ছিল। পরে এই বসয়সীমা কমিয়ে ৩০ বছরে আনা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য সরকারের সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনে গিয়ে দেখা গেছে, কোভিড নিবন্ধন ফর্মে নাগরিক নিবন্ধনের ঘরটিতে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে।
সবাইকে টিকার আওতায় আনতে ধারাবাহিকভাবে বয়সসীমা কমিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, সুরক্ষা অ্যাপটা ম্যানেজ করে আইসিটি বিভাগ। আমরা তাদের বলেছি বয়সসীমা ১৮ বছর পর্যন্ত করার জন্য। এটা তারা ধাপে ধাপে করছে।
প্রথমে ৪০ থেকে ৩৫ করা হয়েছে, ৩৫ থেকে ৩০। এখন আবার ২৫ বছর পর্যন্ত করেছে। তারা বলছে, একবারে ১৮ বছর পর্যন্ত করে দিলে তাদের ওপর চাপ পড়বে। এজন্য ধীরে ধীরে বয়সসীমা কমাচ্ছে।
এরপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, যাদের বয়স ১৮ বছর, তারা এনআইডি দিয়ে ৮ আগস্ট থেকে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা স্থানীয় জনপ্রনিধির কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে স্থানীয় টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন বলে জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।
একদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছিলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার জন্য কারও টিকা নেওয়া আটকাবে না।
বিশ্বে মহামারি বাঁধিয়ে দেওয়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষায় টিকার উপরই ভরসা করা হচ্ছে। দেশে সরকার বিনামূল্যে এই টিকা দিচ্ছে।
দেশে করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ার আগে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। তখন শুধু ৪০ বছর বা এর বেশি বয়সীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছিলেন।
মাঝে টিকার সঙ্কট চললে বয়সসীমা আর বাড়ানো হয়নি। নতুন টিকা আসার পর গত ৫ জুলাই আগের চেয়ে আরও পাঁচ বছর কমিয়ে টিকার নিবন্ধনের জন্য যোগ্যদের বয়স ৩৫ বছর করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর ১৯ জুলাই আরও ৫ বছর কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছিল। গ্রাম পর্যায়ে টিকাদান শুরুর আগে এখন সেই বয়সসীমা আরও ৫ বছর কমিয়ে আনা হল।
সরকার ঘোষিত বয়সসীমা অনুযায়ী যারা টিকা নেওয়ার জন্য যোগ্য, শুধু তারাই সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারছেন। অন্যদিকে টিকার অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা বয়সমীমার বাইরে।
মহামারি মোকাবিলায় সম্মুখসারির কর্মী, বেশ কিছু পেশাজীবী শ্রেণি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, প্রবাসী কর্মী এবং প্রাধিকার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা নির্ধারিত বয়সসীমার শর্তের বাইরে থেকেও নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
গত ২৪ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, করোনা ভাইরাস মহামারি ঠেকাতে সম্মুখসারিতে কাজ করা পেশাজীবীদের পরিবারের ১৮ বছরের বেশি বয়সী সদস্যরাও টিকা নিতে পারবেন।
দেশে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৭ জন টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সব ধরনের টিকা মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৪২২ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪৩ লাখ ২২ হাজার ৩২৭ জন।