৮৫ বছরের বৃদ্ধের যাবজ্জীবন প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের দায়ে

7

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের মামলায় ৮৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ আসামি হারুন-অর রশিদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আরও ৩ লাখ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে তাকে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সর্বশেষ বুধবার রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২০ সালের ৪ অক্টোবর জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর এলাকায় ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নানিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করেন নুর জাহান বেগম।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বলেন, ঘটনার দিন সকালে একই এলাকার বৃদ্ধ হারুন অর রশিদ তার নিজ ঘরে চৌকির ওপর আমার এগারো বছরের প্রতিবন্ধী মেয়েকে উলঙ্গ করে ধর্ষণের দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমি চিৎকার করে মানুষ ডাকাডাকি করলে আসামি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তখনই তাকে ধরে আটকাতে সক্ষম হই। ততক্ষণেই ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে লোকজন জড়ো হলে আসামিকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধী মেয়েকে প্রথমে নানিয়াচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পিপি রফিকুল ইসলাম জানান, নানিয়াচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর এলাকার এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০(৯) ১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আসামিকে ৩ লাখ টাকা অর্থদন্ডসহ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন। আসামি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আর্থিক জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কালেক্টরকে (জেলা প্রশাসক) নারী ও শিশু নির্যাতন আইন-২০০০’এর ১৬ ধারার বিধান অনুসরণ করে ১৮০ দিনের মধ্যে আসামি হারুন অর রশিদের মালিকাধীন স্থাবর বা অস্থাবর বা উভয় সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে দিয়ে প্রাপ্ত অর্থ ট্রাইবুন্যালে জমা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থ ট্রাইব্যুনালে জমা হলে তা ক্ষতিপূরণ হিসাবে ধর্ষিতার বাবা ও মা পাবেন।