৭ হাজার ২শ কোটির ঋণ রেখে স্বামীর আত্মহত্যা, যা করলেন স্ত্রী

35

ভারতের নামি কফি বার সিসিডি তথা ক্যাফে কফি ডে’র কর্ণধার সিদ্ধার্থ। ঋণের ভারে ব্যবসা সামলাতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। অতঃপর তার কোম্পানির দায়িত্ব নেন স্ত্রী মালবিকা। ব্যক্তিগত জীবনের শোকের আবহেই সিসিডির হাল ধরেছিলেন মালবিকা। ২০২০ সালে সিসিডির মূল সংস্থা কফি ডে এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড (সিডিইএল) এর সিইও হন তিনি। দু’বছরের মধ্যে সংস্থার ঋণ কমানোর পাশাপাশি ব্যবসাও বাড়িয়েছেন মালবিকা। কাকতালীয়ভাবে, এই চিঠি লেখার কয়েক ঘণ্টা আগেই সিসিডির অন্তর্বর্তী তদন্তে জানা গিয়েছিল, সিদ্ধার্থের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে ২ হাজার ৬৯৩ কোটি রুপি!
মালবিকা বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভের পর ১৯৯১ সালে সিদ্ধার্থকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। দুই ছেলে ঈশান এবং অমর্ত্যকে সামলে কফি ব্যবসার খুঁটিনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতেন। লকডাউন চলাকালীন ঋণদাতাদের বিপুল অঙ্কের রুপি ফিরিয়ে দিয়েছেন মালবিকা। সিইও হিসেবে প্রথম বছরেই সাফল্য! ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংস্থার ঋণ ছিল সাত হাজার ২০০ কোটি রুপি। পরের আর্থিক বর্ষে অর্থাৎ ২০২০ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে তা তিন হাজার ১০০ কোটি রুপিতে নামিয়ে আনা হয়।২০২১ সালের ৩১ মার্চে সিডিইএলয়ের প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়, এক হাজার ৭৩১ কোটি রুপির ঋণ মেটানো বাকি রয়েছে সংস্থার। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে মোট ঋণের তহবিলে এক হাজার ৭৭৯ কোটি রুপি হয়েছে। তার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এক হাজার ২৬৩ কোটি রুপি। ৫১৬ কোটি রুপির স্বল্পমেয়াদী ঋণ রয়েছে। ঋণদাতাদের টাকা মেটানোর ফাঁকেই ব্যবসা স¤প্রসারণে মন দিয়েছে সিসিডি। এই মুহূর্তে ভারতজুড়ে ৩৩৩টি সিসিডি ভ্যালু এক্সপ্রেস কিয়স্কসহ ৫৭২টি ক্যাফের মালিকানা রয়েছে সংস্থাটির। সব মিলিয়ে ৩৬ হাজার ভেন্ডিং মেশিনের মাধ্যমে কফিপ্রেমীদের টানছে সিসিডি।
কর্মীদের দেওয়া কথা রেখেছেন ৫১ বছরের মালবিকা। সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দু’বছরের মধ্যেই সিসিডির ৭৫ শতাংশ ঋণ মিটিয়ে দিয়েছেন।