৭ মাসেও গ্রেফতার হয়নি রমজান খুনের মূল হোতা আশরাফুল

14

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার প্রত্যন্ত দুর্গম লংগদু উপজেলার ২নং কালাপাকুর্জ্যা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রহমতপুর গ্রামের মো. রমজান আলী খুন হন। তাকে খুন করেন একই গ্রামের জালাল কার্ব্বারীর ছোট ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম (২৮)। খুনের ঘটনার পর পরই পলাতক আসামি আশরাফুল। বিগত ২১ এপ্রিল ২০২১ সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ গ্রাম দক্ষিণ রহমতপুর নয়নের দোকানের সামনে ক্রিকেট বেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মারাত্মক জখম করলে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে রমজান আলী। খুনের ৭ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও আসামি আশরাফুলকে ধরতে ব্যর্থ পুলিশ। তাৎক্ষণিক রমজানকে বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য প্রথম লংগদু সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল পরে কর্তব্যরত ডাক্তার দ্রæত খাগড়াছড়ি সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগি দেখে বলেন সে তো আর নেই। সুতারাং লাশ নিয়ে যেতে পারে। এ দিনের এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. কামাল হোসেন বাদী হয়ে গত ২১ এপ্রিল ২০২১ লংগদু থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতেই পরে পুলিশ হত্যা মামলা গ্রহণ করে। যা লংগদু থানার মামলা নং-০৭, তারিখ- ২১ এপ্রিল ২০২১। রমজান আলী হত্যাকাÐের প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হতে চলছে। কিন্ত খুনি এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। অপর দিকে মামলার ফাইনাল প্রতিবেদন দেয়নি লংগদু থানার পুলিশ। এ হত্যা মামলার রহস্য কোথায় এমন প্রশ্ন জেগেছে নিহতের স্বজনদের মধ্যে। স্থানীয় লোকজন ও নিহতের স্বজনেরা বলেন, পুলিশ বার বার আশার বাণী শুনিয়ে যাচ্ছেন। অথচ খুনির পিতা এ মামলায় আটক হলেও ২ মাসের মধ্যে জেল থেকে বের হয়ে নিহতের আত্মীয়স্বজনও প্রতিবেশীদের কাছে হত্যা মামলা প্রবাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের অপ্রতিকর কথাবার্তা বলছে, মামলা শেষ হয়ে যাওয়ার মত।একটি জলন্ত হত্যা মামলার ফাইনাল প্রতিবেদন দিতে কেন পুলিশ কালক্ষেপণ করছে তা আমাদের বোধ গম্য নহে। নিহতের খুনি আশরাফুল তার আত্মীয়স্বজনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছে। খুনি আশরাফুলের বাবা জেল থেকে এসে বিভিন্ন ভাবে নিহতের আত্মীয়স্বজনদের হুমকি দিচ্ছে। এ মামলায় আসামিদের কিছুই করতে পারবে না এ ধরনের গুজব রটিয়ে মামলাকে নিঃশক্রিয় করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাচ্ছের হোসেন বলেন, রমজান হত্যা মামলার মূল আসামি ঘটনা ঘটার পর থেকে পলাতক। এ মামলায় মূল আসামির পিতা আটকের পর জেলহাজতে ছিলেন। সেখান থেকে জামিনে মুক্তির পর এখন হাজিরা দিচ্ছেন। মূল আসামি আশরাফুলকে ধরতে মামলার আইও এবং ওসি লংগদুকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসামি আশরাফুলকে খুঁজছে পুলিশ তাকে পাওয়া গেলে মামলার চার্জসিট দিলে একটু ভালো হতো। যার কারণে এ মামার চার্জসিট দিতে দেরি হচ্ছে।