৭ মার্চের ভাষণ বাঙালিকে দিয়েছে পথের দিশা

10

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান গত ৭ মার্চ শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, এনপিপি, বিসিজিএমএস, এনডিসি, পিএসসি। এছাড়া অনুষ্ঠানে চবক বোর্ড সদস্যগণ, বিভাগীয় প্রধান, উপ-বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, সিবিএ নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি চবক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ কেবল মুখনিসৃত শব্দরাজি নয়, প্রবঞ্চিত বাঙালি জাতির হাজার বছরের চাপাপড়া কণ্ঠস্বর এক সঙ্গে ধ্বনিত হয়েছে। স্বতর্স্ফুত আবেগ এবং কাঙ্খিত স্বপ্নকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ বাঙালিকে দিয়েছে পথের দিশা, যুদ্ধে যাওয়ার অমিত সাহসী প্রেরণা। তাই ৭ মার্চের ভাষণের বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে এবং অনুপম একটি বক্তব্য যা জাতিকে স্বাধীনতার পথে ধাবিত করে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই জারগণের ধ্বনি ‘জয়বাংলা’ আজ বাংলদেশের জাতীয় ¯েøাগান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চট্টগ্রাম বন্দরের একটি ঐতিহাসিক সাহসিকতাপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। নয়মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত কর্মকর্তাসহ ২০০ জনের অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ও ১০০ জন শ্রমিক-কর্মচারী শহীদ হন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মাধ্যমে গণমানুষের মানবাধিকারের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সম্মিলিত চেষ্টার কোন বিকল্প নেই। বন্দরে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যার যার অবস্থান থেকে সংগঠিতভাবে এবং জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাঁর যে দিকনির্দেশনা ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়া এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সুষ্ঠুভাবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য আহŸান করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর একটি অনন্য প্লাটফর্ম যেখান থেকে দেশের মানুষের সেবা করতে পারা যায়। প্রধান অতিথি ৭ মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে নিজ নিজ অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে চবক চেয়ারম্যান বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। খবর বিজ্ঞপ্তির