৬৪ জেলায় নির্মাণ হলো মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

দেশের ৬৪ জেলা ও ৪২১ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৪টি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা। অপরদিকে ৪২১টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪৬ কোটি টাকা।
এছাড়াও ২২টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের মোট ৪৭০টি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ২০৩টি স্মৃতিসৌধ ও ৩৮টি জাদুঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও, ৪৮টি স্মৃতিসৌধ ও ২৭টি জাদুঘর নির্মাণের কাজ চলছে।
গতকাল বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই মন্ত্রণালয়ের ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায়’ এসব তথ্য জানানো হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সভায় সভাপতিত্ব করেন। খবর বাসস’র
সভায় জানানো হয়, ২ হাজার ৮১০ টি বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ১৭ হাজার ৪১৬টি বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ চলছে। ৪ হাজার ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করা হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চলমান ১২টি প্রকল্পের অনুকূলে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দকৃত মোট ১ হাজার ১১৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বিপরীতে চলতি বছরের (২০২২) অক্টোবর পর্যন্ত ৩০১ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যা এ বছরের মোট এডিপি বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী প্রকল্পের ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়সহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে প্রকল্পের কাজ দ্রæততম সময়ে শেষ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশনা দেন।
সভায় উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ¢ নির্মাণ (৩য় পর্যায়), উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানগুলো সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণ, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার জন্য ব্যবহৃত বধ্যভূমিসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, মুক্তিযুদ্ধকালে শহিদ মিত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্প, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্যানোরমা নির্মাণ (কারিগরি সহায়তা), বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের নৌ-কমান্ডো অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’ বিষয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রভৃতি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়া আরো ৩ টি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার, বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।