৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযুক্ত শিক্ষক বরখাস্ত

17

রামগড় প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলাধীন ১নং ইউনিয়নের থানা চন্দ্র পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক বেলায়েত হোসেনকে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১৪ মে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ মূলে সাময়িক বহিস্কারের সংবাদ নিশ্চিত করেছেন রামগড় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াছ। জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. বেলায়েত হোসেন (৪২), সে একই ইউনিয়নের লামকুপাড়া এলাকার নুরুল হুদার ছেলে এবং তিনি থানাচন্দ্র পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অনুসন্ধানসহ মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মে বিদ্যালয় ছুটির পর অভিযুক্ত শিক্ষক বেলায়েত হোসেন বাড়ির কাজ দেখানোর কথা বলে ঐ ছাত্রীসহ অপর এক ছাত্রীকে ক্লাসরুমে থাকতে বলে। পরবর্তীতে ঐ শিক্ষক দুই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে একজনকে ১ম বেঞ্চে এবং অপরজনকে পিছনের বেঞ্চে বসিয়ে হাতের লেখা লিখতে বলেন। এসময় পিছনের বেঞ্চে বসা ছাত্রীর পাশে বসে তার বিভিন্ন র্স্পশকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন।
ছাত্রীটি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এবং পরবর্তীত্বে এ বিষয়ে কাউকে যাতে না বলে সে কৌশল নিয়ে ছাত্রীকে বাহিরে এনে অভিযুক্ত শিক্ষক ছাত্রীটির হাতে ১শ টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। অভিযুক্ত শিক্ষক বেলায়েত হোসেন ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটির সুইচ বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে গত ১৪মে থানাচন্দ্র পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এ বিষয়ে স্থানীয় অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যে ইতোপূর্বে ও প্রায় ছাত্রীকে কু-প্রস্তাবসহ শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। অভিভাবকরা এ বিষয়ে জানতে পারলেও মেয়ে-পরিবাবের মানসম্মানের কথা এবং লজ্জায় প্রকাশ করতে পারেনি। বারবার এ ধরনে ঘটনার কারণে তাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎতের কথা চিন্তা রেখে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান অভিভাবক জানান। উল্লেখ্য, মামলার বাদী ছাত্রীর মা মেয়ের কাজ থেকে এ বিষয়ে জানতে পেরে তাৎক্ষনিক এলাকাবাসী ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদকে জানালে তাদের সহযোগিতায় ১৩ মে শিক্ষক বেলায়েতে হোসেনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে রামগড় থানার মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছে অভিভাবকরা।