৪৬ লাশ হস্তান্তর : বাকিদের ডিএনএ সংরক্ষণ হবে

64

চকবাজারের অগ্নিকান্ডে নিহতদের মধ্যে ৪৬ জনের পরিচয় শনাক্তের পর তাদের মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বজনদের কাছে। চকবাজার থানার ওসি শামীমুর রশিদ তালুকদার জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৪৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করা গেছে, সবগুলোই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে মোট ৭০টি বডি ব্যাগ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানোর কথা জানানো হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ ৬৭টি লাশ পাওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান। খবর বিডিনিউজের
সংখ্যার গড়মিলের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক তারেক হাসান ভূইয়ার ভাষ্য, তাদের হিসাবে লাশ ৭০টি। তবে কয়েকটা ব্যাগে খন্ড খন্ড ডেডবডি ছিল। সম্পূর্ণ ডেডবডি হয়ত ৬৭টি হতে পারে। কয়েকটি লাশ এতটাই পুড়েছে যে চেনার উপায় নেই।”
আর ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, আমাদের কাছে ফুল বডি এসেছে মোট ৬৭টি। তবে আলাদা ব্যাগে কিছু খন্ডিত দেহাবশেষ আছে। সেগুলো এই মরদেহগুলোরই কি না তা আমরা পরীক্ষা করে দেখব। আপাতত সবগুলো ডেডবডির স্যাম্পল রেখে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলে জায়গা না হওয়ায় শনাক্ত না হওয়া কয়েকটি মরদেহ অন্যান্য মেডিকেলের হিমঘরে রাখা হচ্ছে। এসব মরদেহের ডিএনএ নমুনা রেখে দেওয়া হয়েছে। যারা এখনও স্বজনদের খুঁজছেন, তারা রোববার থেকে ডিএনএ নমুনা সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের কাছে দেবেন। নমুনা হিসেবে রক্ত ও লালার স্যাম্পল দিতে হবে। সংরক্ষণ করা কোনো মরদেহের সঙ্গে মিল পেলে লাশ হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হবে।”
হাসপাতালে স্থাপিত ঢাকা জেলা প্রশাসনের তথ্যকেন্দ্র থেকে জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ইমরুল হাসান জানান, মরদেহ সমাহিত করার জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
চুড়িহাট্টার আগুনে দগ্ধ নয়জনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে। ভর্তি থাকা সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, “১৮ জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছে, যাদের মধ্যে নয়জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে, বাকি নয়জন ভর্তি আছে। আহতদের মধ্যে ছয়জনেরই শ্বাসনালীসহ শরীরের ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”