২৫ একর জায়গা ফিরে ফেল বন্দর

111

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় লালদিয়ার চরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে ২৫ একর জায়গা উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সোমবার সকাল ১০ টায় কর্ণফুলীর ১২ নম্বর ঘাট থেকে এ অভিযান শুরু হয়। একই জায়গায় আজও অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকালে পতেঙ্গা এলাকায় লালদিয়ার চরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ২৫ একর জায়গা উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসময় ২০০ এর অধিক স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। অভিযানের নোটিশ পেয়ে অনেকে স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেন। সেখানে আরো কিছু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। যা উদ্ধার করতে দুয়েকদিন সময় লাগতে পারে। উচ্ছেদ এলাকায় লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে পিডিবি, বিদ্যুৎ বিভাগ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, ফায়ার ব্রিগেড, চট্টগ্রাম বন্দর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় শান্তিপূর্ণভাবে অভিযান সম্পন্ন হয়। বন্দর ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ এর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
এদিকে ২০২২ সাল থেকে লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি পুরোদমে কার্যক্রম চালাতে কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মাণের জন্য পাঁচ বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট মাল্টি পোর্ট অপারেটর- আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনোমিক জোন লিমিটেড, দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ড, ফ্রান্সের বোলোর, বেইজিংভিত্তিক চায়না হারবার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড ও সিঙ্গাপুর ভিত্তিক গেøাবাল পোর্ট সার্ভিসেস। নির্ধারিত প্রক্রিয়া শেষে এই তালিকা থেকে টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পাবে যে কোন একটি প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রাম বন্দরের উপ-ব্যবস্থাপক (ভূমি) জিল্লুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, লালদিয়ার চরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ২০০ অধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই জায়গায় আজও অভিযান চালানো হবে। সেখানে আরো কিছু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। অভিযানে পিডিবি, বিদ্যুৎ বিভাগ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, ফায়ার ব্রিগেড, চট্টগ্রাম বন্দর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে কোনো ধরনের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একদম না। আমরা প্রচুর গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করেছি। অভিযান চলাকালে আমরা সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখিয়েছি। তারাও সহনশীলতা মনোভাব দেখিয়েছে। উদ্ধারকৃত জায়গায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ তালিকায় যে ২ হাজার ১২২টি স্থাপনার কথা হাইকোর্টের তালিকায় রয়েছে সেই তালিকার অধিকাংশ লালদিয়া চরের বসতি। এ তালিকা অনুযায়ী উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্যই আদালত নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনার আলোকে সমন্বিতভাবে জেলা প্রশাসন ৪ ফ্রেরুয়ারি থেকে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করে।