২৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতদের অবস্থান

31

ভারি বর্ষণের বন্যায় কবলিত হয়েছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। প্লাবিত হয়েছে সদরসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বহু বাড়িঘর, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। পানিতে সয়লাব উপজেলা পরিষদ ভবনসহ আশপাশের নি¤œাঞ্চল। চরম ভোগান্তির মধ্যে দুর্গত লোকজন। দুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য খোলা হয়েছে ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ির মুসলিম ব্লক, করেঙ্গাতলী, বঙ্গলতলী, বারেবিন্দু ঘাট, বাঘাইছড়ি সদর, দুরছড়িসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, ফসলি জমিসহ অসংখ্য বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, কাচালং নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় ২০০৭ সাল থেকে প্রত্যেক বছর ভয়াবহ বন্যা দেখা দিচ্ছে। গত বছরওও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন দুই জন।
সূত্র মতে, কাপ্তাই হ্রদে মিলিয়ে যাওয়া কাচালং নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষণে বন্যা কবলিত হচ্ছে বাঘাইছড়ি। কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির ৫৯ বছরে একবারও ড্রেজিং না হওয়ায় পাহাড়ি ঢলে এরই মধ্যে জেগেছে কাচালং নদীর তলদেশ। নাব্যতা হারিয়ে এখন বর্ষণেই আকস্মিক বন্যায় কবলিত হয় বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বাসিন্দারা। ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপক। এবারও বন্যায় কবলিত হল বাঘাইছড়ির বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে উজান থেকে কাচালং নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল নামছে। এতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলা সদরসহ নি¤œাঞ্চলের বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা। পানিতে তলিয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট। প্লাবিত হয়েছে উপজেলা পরিষদ ভবনও। সদরসহ উপজেলায় ২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্গতরা এসব আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে অবস্থান নিচ্ছেন। তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
সামাজিক সংগঠন হৃদয়ে বাঘাইছড়ি ইউনিটের আহবায়ক আবদুল গফুর সুবেল বলেন, গতকাল থেকে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বেশ কিছু এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে নি¤œাঞ্চলের লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন। প্লাবিত এলাকার লোকজনকে প্রশাসনের পাশাপাশি হৃদয়ে বাঘাইছড়ি সংগঠনের কর্মীরওা সহায়তা করছেন।
বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জাফর আলী জানান, বন্যা নামতেই বাঘাইছড়ি উপজেলার বিস্তীর্ণ নি¤œাঞ্চল তলিয়েছে। দুর্গত লোকজন চরম ভোগান্তির মধ্যে এখন মানবেতর পরিস্থিতিতে। পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।