ইউরেনিয়ামের মজুদ ২০ শতাংশ বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে ইরান। বিবিসর খবরে এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তির এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিশ্ব পারমাণবিক সংস্থার পক্ষ থেকে তাতক্ষণিকভাবে কোনো কিছু নিশ্চিত করা হয়নি। এর আগে জাতিসংঘের পারমাণবিক নজরদারি সংস্থা আইএইএ জানায় এখন পর্যন্ত ইউরেনিয়ামের মজুদ ১২ গুণের বেশি বৃদ্ধি করেছে ইরান। ইরান সরকারের মুখপাত্র আলী রাবেই মাহের সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, ইরান কয়েকঘন্টা পূর্বে কওমের ফোর্ডো স্থাপনায় ইউরেনিয়াম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সৃমদ্ধ এই ইউরেনিয়াম দিয়ে ইরান পারমানবিক জ্বালানীর পাশাপাশি পারমানবিক বোমা বানাতে সক্ষম হবে। এই ইউরেনিয়ামের বিশুদ্ধতার হার ৯০ শতাংশ।
২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী, ইরানকে ইউরেনিয়ামের মজুতের পরিমাণ ৪ শতাংশের কম রাখতে হবে। দেশটির ৩.৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম মজুত থাকার কথা থাকলেও এর চেয়ে অনেক গুণ বাড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ইরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। এসব কারণে ইরান অন্য সময়ে চেয়ে বেশি মাত্রায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়াতে শুরু করে। তবে এখনও পরমাণু চুক্তি নিয়ে আশাবাদী যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং চীন।