২০ বছর পর র‌্যাবের হাতে ধরা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি

8

হাটহাজারী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. জামাল প্রকাশ ক্যারাটি জামাল (৬০) দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। আটক জামাল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া’র কাজীপাড়া এলাকার মৃত সৈয়দ করিমের ছেলে। গত শনিবার দিবাগত রাতে উক্ত এলাকা থেকে র‌্যাব-৭ এর হাটহাজারী ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
র‌্যাব জানায়, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০০৩ সালের ২৬ মে দুপুরের দিকে মির্জাপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান কালামের নির্দেশে জামাল ও তার সহযোগীদের সাথে নিয়ে চারিয়া কাজীপাড়া এলাকার আপন তিন সহোদর আবুল বশর, বাদশাহ ও কাশেমকে এলোপাতারি গুলি করে। এছাড়াও ধারারো কিরিচ ও দা দিয়ে উপুর্যপুরি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে নৃশংসভাবে হত্যা করে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে। ঘটনার পর থেকে উক্ত ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান কালাম, জামালসহ তার সহযোগীরা দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
পরবর্তীতে নিহতদের ভাই কাজী মজ্জল মাস্টার বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় জামালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নির্দিষ্ট সময়ের পর মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আদালত সকল সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া কার্যক্রম শেষে জামালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর থেকে জামাল পলাতক ছিল বলে জানায় র‌্যাব।
র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. জামাল প্রকাশ ক্যারাটি জামালকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জামাল হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত এবং মূল পরিকল্পনাকারী ছিলো বলে স্বীকার করে। পরে তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমীন সবুজ জানান, র‌্যাব কর্তৃক ধৃত জামালকে আমরা গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছি।