কক্সবাজার প্রতিনিধি
টেকনাফের হ্নীলায় নিজের ঘর থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় মো. আইজ উদ্দিন নামের এক আসামিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে দন্ডিত আসামি মো. আইজ উদ্দিন আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার টেকনাফ থানার এই মামলার শুনানি শেষে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিত আসামি মো. আইজ উদ্দিন টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়ার পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। একই মামলার আরেক আসামি (পলাতক) মো. শামসুদ্দিন ও কারাগারে থাকা আসামি মো. আইয়ুবের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাড. ফরিদুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাড. বেগম শামীম আরা স্বপ্না।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের নাজির বেদারুল আলম। মামলা সূত্রে তিনি জানান, ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের হ্নীলা পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার মো. আইজ উদ্দিনের বসতবাড়ি থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব-৭। পরে এ ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন টেকনাফ ক্যাম্পের ডিএডি মো. আব্দুর রহমান।
অ্যাড. ফরিদুল আলম জানান, মাদকের মামলাটি তদন্তপূর্বক আসামি আইজ উদ্দিন, মো. শামসুদ্দিন ও মো. আইয়ুবের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আতিক উল্লাহ। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। ঘটনার চার বছর ৫ মাসের মাথায় বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় দিয়েছেন আদালত।
আদালতের এমন রায় মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ‘যুগান্তকারী ভ‚মিকা’ রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল আলম। বিচারে তিনি সন্তুষ্ট বলেও জানান।
