১৫ ‘বালুখেকোকে’ নোটিশ পরিবেশ অধিদপ্তরের

8

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই বছর আগে থেকে বাঁশখালীর জঙ্গল পুঁইছড়ি বালুমহালের ইজারা বন্ধ থাকলেও বালুখেকোদের একটি চক্র কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিল। স্থানীয় প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকায় অতিষ্ঠ হয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের দ্বারস্থ হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে সরেজমিনে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ের তদন্তে ওঠে এসেছে ১৫ জনের নাম। আগামী ৩০ মে এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করার জন্য অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িতদের পরিবেশের শুনানিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে দপ্তরটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কার্যালয়টির পরিচালক মুফিদুল আলম।
গত ২০ এপ্রিল পরিবেশ অধিদপ্তর ও বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ জনকে আটক করা হয়। সে সময় বালুভর্তি দুটি ট্রাক ও ৩ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। অভিাযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন ও এসআই আজীম উদ্দীন। কিন্তু অভিযানের পরও চিত্র বদলায়নি। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন চলছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব তদন্তে যে ১৫ জন বালুখেকোর নাম ওঠে আসে তারা হলেন হলেন, ফরহাদুল আলম, শাহাদাত হোসেন, রাহাদুল আলম চৌধুরী, খাইনে আলম চৌধুরী, ফারুক, মোহাম্মদ আজিজ, বাচ্চু, রুবেল, জিসান, মোজাম্মেল, আবুল কাশেম, আহমদ আলম, আব্দুল কাদেরসহ আরও দুইজন।
জানা গেছে, জঙ্গল পুঁইছড়ির বারদোনা, বুইজ্যাঢেরা ও চিতাখোলা এলাকার ১৭ স্পট থেকে প্রতিদিন অন্তত দেড় কোটি টাকার বালু তোলা হচ্ছে। দৈনিক ২৫০-২৬০ ট্রাক বালু বিক্রি করতে ওই এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের এক হাজার ২০০ ফুট পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। উত্তোলনের স্থানে প্রতি ট্রাক বালু বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়। আবার ঘরোয়া ক্রেতারা স্থানভেদে কিনছেন তিন হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার টাকায়। পাহাড়ি জনপদের পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রাস্তার পাশে ৩৫টি স্পটে এখনো মজুদ রয়েছে অন্তত ২০ কোটি টাকার বালু।
প্রসঙ্গত, পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এই ছড়া থেকে বালু উত্তোলনের ইজারা বাতিল করে জেলা প্রশাসন।