১৪ বছরে নগর উন্নয়নে ব্যয় ৭ হাজার ৮শ কোটি টাকা

16

নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর ৩২ সেবা সংস্থার মধ্যে অন্যতম হলো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। নিজস্ব আয়ে নগর উন্নয়ন ছাড়াও গত ১৪ বছরে সরকারি বরাদ্দ মিলেছে প্রায় ৭ হাজার ৮শ কোটি টাকা। যা বিগত যেকোনো সরকারের চেয়ে অনেকগুণ বেশি বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। মোট ১৭টি প্রকল্পের বিপরীতে এসব বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সড়ক উন্নয়ন, খাল খনন, আলোকায়ন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠির বাসস্থান, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, টার্মিনাল, ড্রেন, খাল-নালায় প্রতিরোধ দেয়াল, পরিচ্ছন্নতা, সবুজায়ন, আয়বর্ধক স্থাপনা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন প্রাধান্য পেয়েছে এসব প্রকল্পে।
এ বিষয়ে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলছেন, ‘২০০৮ সালে লালদিঘীর জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের ভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। এরপর থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। বর্জ্য পরিষ্কার, বাতি জ্বালানো আর রাস্তা মেরামত করা সিটি কর্পোরেশনকে তিনি অনন্য মাত্রা দিয়েছেন। বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে বহুগুণ বেশি বরাদ্দ দিয়ে সড়ক নেটওয়ার্কিং-এর অভূতপূর্ব উন্নয়নের ছক এঁকে দিয়েছেন।’প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেয়র রেজাউল আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার অনুরোধকে প্রাধান্য দিয়ে শতভাগ সরকারি অর্থায়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছেন। ১৩শ ৬২ কোটি টাকার খাল খনন প্রকল্প দিয়েছেন। চট্টগ্রামবাসী ভাগ্যোন্নয়নে তিনি দুই হাত প্রসারিত করেছেন। সব প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন শেষ হলে উন্নত এক চট্টগ্রামকে দেখবে বিশ্ববাসী।’
চসিক সূত্র বলছে, ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ৭ হাজার ৭৯৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দ পেয়েছে সংস্থাটি। তারমধ্যে ১৩শ ৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন, ১২শ ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে চসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, ২৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে চসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য নিবাস নির্মাণ প্রকল্প, ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১টি ওয়ার্ডজুড়ে আলোকায়ন প্রকল্প, ২৪শ ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অন্যতম।
আজকের জনসভায় নগরবাসীর পক্ষে কি কি চাওয়ার আছে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ আন্তরিক। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো, আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল নির্মাণ এবং সমুদ্রের পাশে ওশান সিটি নির্মাণে সরকারকে এগিয়ে আসার অনুরোধ থাকবে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের আওতায় ২৬২ কোটি টাকার বরাদ্দটি পেলে সিটি কর্পোরেশনকে স্বনির্ভর করে গড়ে যাবো। আমার উপর নেত্রী যে আস্থা রেখেছেন তা শতভাগ অটুট রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।’