১৪টি চাকরির পরীক্ষা

16

 

করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত মাস থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয় চাকরির পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে। আগামী শুক্রবার ৮ অক্টোবর একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে ১৪টি জনবল নিয়োগ পরীক্ষা। তিতাস গ্যাস, বিসিএসআইআর, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি, সাধারণ বীমা করপোরেশন, বিসিএস নন-ক্যাডার, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন, বিএডিসি, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার সূচি প্রকাশ করেছে।
গত শুক্র ও শনিবার একাধিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। গত ১৭সেপ্টেম্বর নেয়া হয়েছে একই সময়ে ১৭টি পরীক্ষা। একজন প্রার্থীর একাধিক পরীক্ষা পড়ার কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেকারদের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেয়ার সময় এ ধরনের কোন ঘোষনা দেয়া হয়নি। এসব পরীক্ষায় আবেদন করতে কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
একজনের।টিউশনির টাকায় ফরম পূরণ করে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা খুবই দুঃখজনক। দেড় বছর ধরে অপেক্ষা করছে এবং দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে এসব পরীক্ষার জন্য। সমন্বয় করে ধীরে ধীরে পরীক্ষা নেয়া যেত। আমার ছেলেও একজন প্রার্থী। আমি জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এসব প্রহসন বন্ধ করা হোক। তাদের এ কষ্টের টাকা পানিতে যাচ্ছে। সবগুলো পরীক্ষা আবার ঢাকায় হচ্ছে। প্রতিটা পরীক্ষা দেয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসা-যাওয়া থাকা-খাওয়াতে প্রচুর টাকা ব্যয় হয়। বিসিএস পরীক্ষার মতো জেলা ভিত্তিক পরীক্ষা নেয়া যায়। এসব বিষয় বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।