১৩ মাস ১৫০ শ্রমিকের পাওনা টাকা ব্যাংকে!

7

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আমিন জুট মিলের ১৫০ জন শ্রমিকের পাওনা টাকা দীর্ঘ ১৩ মাস ধরে ব্যাংকে জমা হয়ে আছে কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের এই টাকা দিতে গড়িমসি করছে। বিজেএমসি ও মিল কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও কোনো সুফল মিলেনি। সরকার শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করলেও কি কারণে দেয়া হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আমিন জুট মিল সিবিএ, নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাট ও পাট শিল্প রক্ষা কমিটি কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজ খালেক এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২০ সালের ২ জুলাই সরকার রাষ্ট্রীয় ২৬টি পাটকল কোনো নোটিশ ছাড়া বন্ধ করে দেয়। ঐ সময় করোনা মহামারিতে মানুষ ছিল আতঙ্কগ্রস্ত, দেশের ৩৪টি জেলা বন্যাকবলিত, বাঁচার কোনো উপায় ছিল না ঠিক সেই সময়ে সরকার মিলগুলো বন্ধ করে দেয়। সরকারিভাবে ঘোষণা ছিল, উৎপাদন স্থগিত হলেও শ্রমিকদেরকে শতভাগ পাওনা পরিশোধ করা হবে। তার একদিন পর ঘোষণা আসে শ্রমিকদের পাওনার ৫০ শতাংশ নগদ আর ৫০ শতাংশ পারিবারিক সঞ্চয়পত্র দিবে। বর্তমানে আমিন জুট মিলের ১৫০ জন স্থায়ী শ্রমিক তাদের পাওনা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজ খালেক আরও বলেন, শ্রমিকরা ৪০ থেকে ৪৫ বছরের অর্জিত পিএফ, গ্র্যাচুইটির অর্থ না পেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা, উপযুক্ত মেয়ের বিয়ে ও নিজের চিকিৎসা খরচ চালানো মত সামর্থ্যও নাই। তিনি পাওনা পরিশোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার, বিজেএমসির ও মিল কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।
এসময় আমিন জুট মিল সিবিএ, নন সিবিএ ঐক্য পরিষদ ৭ দফা দাবি পেশ করে। এসব মধ্যে রয়েছে- ১৫০ জন স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা পিএফ, গ্র্যাচুইটি জরুরি ভিত্তিতে পরিশোধ করা, সরকারি মালিকানায় ওয়াদামত মিল চালু করা, বদলি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা, এনআইডি কার্ড প্রথা বাতিল করে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাওনা পরিশোধ করা ও ভূমিদস্যুদের ছোবল থেকে মিলের সম্পদ ও জায়গা রক্ষা করা।
সংবাদ সম্মেলনে আমিন জুট মিল সিবিএ, নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের নেতা ও শ্রমিক-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।