১২ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রাম সাজাবেন এটিএম পেয়ারুল

25

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চট্টগ্রামকে সাজাতে ১২টি বিষয়কে গুরুত্ব দিবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এমন তথ্য জানান মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, তিনি নির্বাচনে শতভাগ জয়ের আশাবাদী এবং মোট প্রাপ্ত ভোটের ৯০ শতাংশ তিনিই পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন অভিযাত্রার সহযোগী হিসেবে আধুনিক চট্টগ্রাম গড়তে এটিএম পেয়ারুল ইসলামকে আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে ভোটারদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হলে চট্টগ্রামের মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নে রোডম্যাপ তৈরি করবেন। প্রতিটি এলাকায় সুষম বণ্টন, সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘গ্রাম হবে শহর’ উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করবেন এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে যোগ্যতা এবং দক্ষতার পরিচয় দিতে পেয়ারুল ইসলাম সক্ষম হবে জানিয়ে বলা হয়, জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে রোডম্যাপ তৈরি করে সরকার থেকে উন্নয়ন বরাদ্দ করে সিটি করপোরেশন ও সকল উপজেলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমভাবে উন্নয়ন করবেন। জেলা পরিষদের সম্পত্তিসমূহ যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করবেন। জেলা পরিষদের নিয়মিত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বাড়িয়ে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পের মান নিশ্চিত করে নির্ধারিত সময়ে শেষ করার চেষ্টা করবেন। সরকারি সংস্থা ও প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। পরিবেশ রক্ষায় ‘গ্রিন চট্টগ্রাম’ হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তুলবেন। কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার পাশাপাশি সার্বিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের মধ্যদিয়ে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ছেলে মেয়েদের ক্রীড়ামুখী করতে সবধরনের ইনডোর এবং আউটডোর খেলাধুলার মানোন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ এবং খেলার মাঠ সংস্কারের ব্যবস্থা নেবেন।
গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়ে বলা হয়, পোল্ট্রি, ডেইরি ও দুগ্ধ শিল্প, হ্যাচারি শিল্প, গরু, ছাগল পালন, মৎস্য চাষকে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত করে এর প্রসার বাড়াবেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর ধান উৎপাদন, পাট চাষ, চা উৎপাদন, ড্রাগন, মাল্টা, কমলা, আম, লিচু, আদা, হলুদ, রসুন, কাঁঠাল, আগর ইত্যাদিসহ রবিশস্য চাষে আগ্রহী করে বেকার সমস্যা সমাধানে উৎপাদনে উৎসাহ প্রদানের ব্যবস্থা করবেন। এছাড়াও সকল সরকারি সেবা যথাযথ নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক সচেষ্ট থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি ও সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর জন্য সরকারি সহযোগিতা কামনা করবেন। স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে লালন ও চর্চার ব্যবস্থা নিবেন। রেমিটেন্স যোদ্ধাখ্যাত প্রবাসীদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও তাদের সামাজিক মর্যাদা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের জয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলা হয়, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য অসাধারণ উন্নয়ন যজ্ঞের সুফল ভোগ করছে চট্টগ্রামের মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর সুনিপূণ হাতের ছোঁয়ায় বদলে গেছে বাংলাদেশ, বদলে গেছে মানুষের জীবনধারা। উন্নয়নের ধারায় বদলে গেছে চট্টগ্রামও। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে সাবাবিশ্বে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পুরো চট্টগ্রামের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর উন্নয়ন ধারায় তদারকির ভূমিকা পালন করার জন্যই এটিএম পেয়ারুল ইসলামকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানে চট্টগ্রামের নেতারা যূথবদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, আইইবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচএম. জিয়াউদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, সাবেক সাংসদ মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, শিক্ষক নেতা সেকান্দর চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নগর সাধারণ সম্পাদক এড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।